খুলনা, বাংলাদেশ | ৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৪ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  হাইব্রিড মডেলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি, রাজি পাকিস্তান; ভারতের ম্যাচ দুবাইয়ে : বিসিবিআই সূত্র
  গুমের দায়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ২২ সদস্য চাকরিচ্যুত, গুম কমিশনের সুপারিশে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে

দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী বিধান ২৫ বছরেও পায়নি মাথা গোঁজার ঠাই

এম.পলাশ শরীফ, মোরেলগঞ্জ

’’জন্ম থেকে জ্বলছি মাগো তোমার এই ভাঙ্গা সংসারে’’ জিবন-ই যার দুঃখে ভরা, তার আবার সুখ কোথায়?’’ দীর্ঘ দিনের অনেক ব্যাথা লুৃকিয়ে রয়েছে বুকের মধ্যে। মোড়েলগঞ্জের প্রত্যন্ত অঞ্চলের অজোপাড়াগাঁয়ে বসবাস এমন এক দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী বিধান চন্দ্র রায় (৬০)। সংবাদকর্মীদের পেয়ে আবেগে আপ্লুত হয়ে মনের গহীনে লুকিয়ে থাকা জীবন সংগ্রামের দুঃখ কষ্টের অনেক কথা শোনালেন।

বিধান রায় বলেন, শুনেছি মমতাময়ী মা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের মতো গরীবের ঘর তৈরী করে দিচ্ছেন। জীবনের শেষ বয়সে এসে মাথা গোজার একটু ঠাই আপন ঠিকানা আমারও পেতে ইচ্ছে করে। অনেক দিন ধরে মনের ভিতর এমন আকাঙ্খা আমাকে তাড়িয়ে ফিরছে। বাস্তবে কি সেই ঠিকানায় কখনো ফিরতে পারবো? নিজের আকাঙ্খার কথা ব্যাক্ত করে এমন নানা প্রশ্ন করলেন জিউধরা ইউনিয়নের পালের খন্ড গ্রামের মৃত. লক্ষীকান্ত রায়ের ছেলে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী বিধান চন্দ্র রায়।

জন্ম থেকেই নেই দু’চোঁখের আলো। নেই কোন মাথা গোজার ঠাই, রাস্তার পাশে সরকারি জমিতে ছোট একটি খুপড়ি ঘরে বৃদ্ধা মা শান্তি রানি রায় (৭৫) কে নিয়ে বসবাস তার। কোনমতে সংসার চলে ৫০-১০০ টাকার বিস্কুট, চকলেট বিক্রি করে। এক বেলা খাবার জোটেতো অন্য বেলায় অভূক্ত থাকতে হয়। পিতার পৈত্রিক ভিটেমাটি ছিলো .৫ কাটা। বড় ভাই মৃনাল কান্তি রায় তাদেরকে তাড়িয়ে দিয়ে সেখানে বসবাস করছেন। সরকারিভাবে প্রতিবন্ধী ভাতা বৃদ্ধা মায়ের বয়স্ক ভাতার টাকায় চলে অসহায় মা-ছেলের সংসার।

স্থানীয় বাসিন্দা মিঠু মন্ডল, সুজিত মন্ডল, স্বপন মন্ডল জানান, প্রায় ২০ বছর ধরে সরকারি জমিতে খুপড়ি ঘর নির্মাণ করে বৃদ্ধা মাকে নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন বিধান রায়। সরকারি উদ্যোগে এ প্রতিবন্ধী পরিবারটি মাথা গোজার জন্য একটি নিরাপদ ঘর পেলে অনেক কিছুই পাওয়া হবে তাদের।

এ সর্ম্পকে ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম বাদশা বলেন, প্রতিবন্ধী বিধান রায় ও তার মা সরকারিভাবে ভাতা পাচ্ছেন। তারপরও ব্যক্তিগতভাবে বিভিন্ন সময়ে পরিষদ থেকে সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয়।

উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা গৌতম কুমার বিশ্বাস জানান, এ উপজেলায় ৮ হাজার ২৩ জন প্রতিবন্ধী ভাতা পাচ্ছেন। ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে ভাতার সংখ্যা আরো বৃদ্ধি পাবে বলে এ কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সরকারিভাবে নিবন্ধনকৃত প্রতিবন্ধীদের ভাতা দেওয়া হচ্ছে। প্রতিবছরই নতুন করে তালিকার সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। জমি আছে ঘর নেই প্রকল্পের কাজটি আপাতত বন্ধ রয়েছে। দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীর খোঁজ খবর নিয়ে যাতে ওই পরিবারটি ঘর পেতে পারে তার ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে এ কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

খুলনা গেজেট/ এস আই




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!