দৃশ্যমান কৃত অপরাধের বাইরে অদৃশ্য কৃত অপরাধ বহুগুণ বেশি। যেটির হিসেব মহান আল্লাহ ছাড়া আর কেউ জানেন না! মুখোশধারী যে কেউই নিজেকে এর সাথে সম্পৃক্ত করতে পারবেন। মুখোশের আড়ালে যে কত খেলা চলে, সেটি খালি চোখে বুঝবার কথাও নয়।
যারা দুনিয়াতে বসে বসে কোনো একটি ক্রিয়ার বিপরীতে সংঘটিত প্রতিক্রিয়ার উপর ভিত্তি করে পরকালে কি রায় হবে, তা জানিয়ে, বুঝিয়ে দিচ্ছেন তারা একটু থামেন, আস্তে এগিয়ে যান দয়া করে। হিসাব দৃশ্যমান, অদৃশ্য অপকর্ম সব মিলিয়েই হবে।
ফায়দা লুটবার প্রয়াসে কোনো ক্রিয়া সংঘটিত হলে সেটির দায়ও নিতে হয়। কাজেই রায় দিতে যাবেন না। ওই রায় দেয়ার আপনি কেউই না, আপনি আপাতত নিজের অপকর্মের হিসাব গুণতে থাকেন।
আপনি এবং আপনার পন্থাই সর্বোত্তম কিনা সেটার সিদ্ধান্ত শেষ বিচারেই হোক। সেটির রায় সর্বোত্তম, সর্বজ্ঞাত ও মহাজ্ঞানী মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন দেবেন।
কাজী নজরুল ইসলাম সম্ভবত আমাদের ভণ্ডামি আর মুখোশের জন্যই বলে গেছেন,
“আমরা সবাই পাপী
আপন পাপের বাটখারা দিয়ে অন্যের পাপ মাপি”!
(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)
খুলনা গেজেট/কেএম