খুলনা, বাংলাদেশ | ৩ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৮ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এক মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ ট্রাইব্যুনালের
  জুলাই-আগস্ট গণহত্যায় ১৩ আসামিকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে; আনিসুল হকসহ ১৩জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে
  সোনারগাঁওয়ে টিস্যু গোডাউনে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ১২ ইউনিট
  আগামীতে সরকারের মেয়াদ হতে পারে চার বছর : আলজাজিরাকে ড. ইউনূস

দুর্নীতি মামলায় বিজিবি’র সাবেক সুবেদার মেজরের ৫ বছর কারাদন্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর

দুর্নীতির মামলায় যশোর বিজিবির সাবেক সুবেদার মেজর নজরুল ইসলামকে পাঁচ বছর সশ্রম কারাদন্ড ও অর্থদন্ডের আদেশ দিয়েছেন যশোরের আদালত। মঙ্গলবার স্পেশাল জজ (জেলা ও দায়রা জজ) মোহাম্মদ সামছুল হক এ আদেশ দিয়েছেন। সাজাপ্রাপ্ত নজরুল ইসলাম যশোর ঝুমঝুপুর ২৬ বিজিবির তৎকালীন সুবেদার ছিলেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, সাতক্ষীরার কামানগর গ্রামের রফিকুল ইসলাম চামড়ার ব্যবসা করেন। ২০১৪ সালে ঈদুল আজহার সময় তিনি বেশ কিছু চামড়া কিনে স্থানীয়ভাবে লবন দিয়ে প্রক্রিয়াজাত করেন। ১৪ অক্টোবর তিনি মোট ৪ হাজার ৬৭৭ পিস চামড়া ট্রাক ভাড়া করে নিয়ে নাটোরের আড়তের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। পথিমধ্যে যশোরের ঝিকরগাছায় একদল অপরিচিত লোক ট্রাক থামিয়ে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। এ চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকার করায় তারা যশোর বিজিবিকে সংবাদ দেয়। বিজিবির সুবেদার মেজর নজরুল ইসলাম তার ফোর্সসহ চামড়া বোঝাই ট্রাকটি যশোর ঝুমঝুমপুর বিজিবি ক্যাম্পে নিয়ে যান।

বিজিবি ক্যাম্পের কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্ণেল জাহাঙ্গীর হোসেনকে চামড়ার বৈধ কাগজপত্র দেখালে তিনি এ চামড়া ভারতে যাচ্ছে বলে অভিযোগে করে সুবেদার মেজর নজরুল ইসলামের সাথে কথা বলতে বলেন। রফিকুল ইসলাম সুবেদার মেজর নজরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি পাঁচ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। বহু কষ্টে তিনি ওইরাতে এক লাখ টাকা জোগাড় করে নজরুল ইসলামকে দিয়ে বাকি টাকা সকালে দিবেন বলে চলে যান। পরদিন সকালে রফিকুল ইসলাম বিজিবি ক্যাম্পে গিয়ে দেখেন চামড়া নিলামে বিক্রি করে ট্রাক ছেড়ে দিয়েছে।

এ ঘটনায় রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে ওই দু’জনকে আসামি করে ১৭ নভেম্বর দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মামলা করেন। জেলা ও দায়রা জজ অভিযোগটি গ্রহণ করে দুর্নীতি দমন কমিশনকে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আাদেশ দেন। এ মামলার দীর্ঘ তদন্ত শেষে দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয় যশোরের উপসহকারী পরিচালক সৌরভ দাস ২০১৬ সালের ৩০ আগস্ট সুবেদার মেজর নজরুল ইসলামকে অভিযুক্ত ও লেফটেন্যান্ট কর্ণেল জাহাঙ্গীর হোসেনের অব্যাহতি চেয়ে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেন।

এ মামলার দীর্ঘ সাক্ষী গ্রহণ শেষে আসামি সুবেদার মেজর নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাকে ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় ৫ বছর সশ্রম কারাদন্ড, ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন। সাজাপ্রাপ্ত সুবেদার মেজর নজরুল ইসলাম বর্তমানে পলাতক রয়েছেন।

খুলনা গেজেট/ টিএ

 




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!