আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দুর্নীতিবাজ কোনো ব্যক্তিকে মনোনয়ন না দিতে দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ।
রবিবার (২৫ জুন) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় সংস্থাটির প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ আহ্বান জানান তিনি।
এক প্রশ্নের জবাবে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘কে নির্বাচন করবে আর কে করবে না, সেটা তাদের দলের ব্যাপার। অথবা কে মনোনয়ন পাবে বা পাবে না, তা-ও তাদের দলের বিষয়। তবে আমরা প্রত্যাশা করি না দুর্নীতিবাজ কেউ নির্বাচনে আসবে।’ এ সময় দুর্নীতিবাজ তথা কালো টাকার মালিকদের বিরুদ্ধে দুদকের অবস্থান অনড় বলে মন্তব্য করেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান।
তিনি বলেন, ‘দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে আমাদের অনুসন্ধান কর্মকাণ্ড স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় চলবে। ইলেকশন আছে বলে যে আমরা বাড়তি কিছু করব, তা না। আমরা আমাদের কাজ চালিয়ে যাব।’
সম্প্রতি দুর্নীতির অভিযোগ থেকে বেশ কয়েকজন সংসদ সদস্যের অব্যাহতি পাওয়া প্রসঙ্গে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ হলে যেমন ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই, তেমনি কারও কিছু না পেলে তাকে ধরে রাখতেও আমরা পারি না।’
এক প্রশ্নের জবাবে দুদকের কমিশনার (তদন্ত) মো. জহুরুল হক বলেন, ‘দুদক সব রাঘব-বোয়ালকে ধরছে। আগের চেয়ে দুদকের কার্যক্রম অনেক গতিশীল হয়েছে। আমরা কাউকে ভয় পাচ্ছি বলে মনে হয় না। আপনারা দেখুন আট বছর পরে বাচ্চুর (বেসিক ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান শেখ আব্দুল হাই বাচ্চু) বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছি। অনেক বড় বড় নজির এই কমিশনের রয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে বিশ্ব রেকর্ডও গড়েছে।’
কমিশনার জহুরুল হক আরও জানান, দুদক কাউকে ছাড় দেয় না। কারও অপরাধ প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে শাস্তির ব্যবস্থা করছেই। দুর্নীতি-অনিয়মের অভিযোগ অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে দীর্ঘসূত্রতা প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ’আগে যাচাই-বাছাই কমিটির (যাবাক) একটি অভিযোগ বাছাই করতে তিন থেকে চার মাস সময় লাগত। এখন সেটা সাত দিনেই সম্ভব হচ্ছে।‘
মতবিনিময় সভায় দুদক কমিশনার (অনুসন্ধান) মো. মোজাম্মেল হক খানও বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে দুদক বিটের সাংবাদিকদের সংগঠন রিপোর্টার্স অ্যাগেনস্ট করাপশনের (র্যাক) সাংগঠনিক ওয়েবসাইট উদ্বোধন করেন কমিশন চেয়ারম্যান মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ।
খুলনা গেজেট/কেডি