খুলনা, বাংলাদেশ | ১০ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২৩শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

Breaking News

  চাপ দিয়ে উপাচার্যকে অপসারণ করলে মেনে নেব না: কুয়েট শিক্ষক সমিতি
  কুয়েটে অনশনের ৪০ ঘণ্টা : ৫ শিক্ষার্থী অসুস্থ, দুর্বল হয়ে পড়ছেন আন্দোলনরত ২৬ জন

দুবলায় জেলের জালে ধরাপরা দুই ভোল মাছের দাম সাড়ে ১৮ লাখ টাকা!

ওয়াসিম আরমান, মোংলা প্রতিনিধি

বঙ্গোপসাগরের সুন্দরবন উপকূলে ধরা পড়া দুটি ভোল মাছ বিক্রি হয়েছে সাড়ে ১৮ লাখ টাকা। ফারুক নামের এক জেলের জালে শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ধরা পড়ে বিরল প্রজাতির সামুদ্রিক দাঁতিনা ভোল মাছ দুটি। শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ৬৩ কেজি ৫০০ গ্রাম ওজনের এ মাছ দুইটির মূল্য হাকা হয়েছে ১৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা।

সুন্দরবনের দুবলার চর থেকে শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে মোংলা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের “মেসার্স জয়মনি ফিস” আড়ৎ মালিক আল আমিন এই দুটি মাছ ক্রয় করে মোংলায় নিয়ে আসে। জেলে ফারুকের জালে মাছ দুটি ধরা পড়ে শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে। মাছ দুটি এক নজর দেখতে মোংলা মাছ বাজারের উৎসুক লোকজন ভিড় জমায়।

অক্টোবরের প্রথম দিকে ৫ মাসের জন্য বঙ্গোপসাগরের দুবলার চরের আলোরকোসহ পাঁচটি চারাঞ্চলে শুটকীর তৈরীর জন্য মাছ আহরণে যান মোংলার জয়মনির ঘোল এলাকার জেলে ফারুক হোসেন। মৌসুম এখন শেষ পর্যায়, তাই এতো দিন ফারুক হোসেন’র জালে তেমন কোন বড় মাছ না পেলেও বৃহস্পতিবার রাতে সাগরের গহীনে মাছ ধরতে গেলে তার জালে দুইটি বড় আকারের বিরল প্রজাতির দাতিনা ভোল মাছ ধরা পড়ে। শেষ রাতে সাগর থেকে এসে সেটি কিনারে নিয়ে সাগর পাড় দুবলার চরে মৎস্য আড়তে নিলামে উঠানো হয়।

ওই নিলামে ২০ থেকে ২৫ জন দরদাতার মধ্যে সর্বোচ্চ দরদাতা মোংলা বাজারের মাছ ব্যাবসায়ী আল আমিন মাছ দুইটি ১৮ লাখ ৫০ হাজার টাকায় কিনে নেয়। তার মধ্যে বড় মাছটির ওজন ৩৬ কেজি ৫০০ গ্রাম, দাম হাকা হয় ১১ লাখ এবং ছোট আকারের মাছটির ওজন হয় ২৭ কেজি, দাম ধরা হয়েছে ৭ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। বিরল প্রজাতির সামদ্রিক এ মাছ দুটির প্রতি কেজি মাছের মূল্য পড়েছে ২৯ হাজার ১শ’ ৩৩ টাকা। ব্যাবসায়ী আল আমিন মাছ দুটি সঠিক পদ্ধতীতে প্রসেসিং ও প্যাকেটজাত করে চট্রগ্রামের মাছের বড় বাজারে পাঠানো হয়েছে বলে জানায় “জয়মনি ফিস” আড়ৎ মালিকরা।

তবে শুধু মাত্র মাছের মুল্য যে এতোটা তা নয়, এ মাছের মধ্যে বিশেষ ধরণের ফুলকী বা প্যাটা রয়েছে, যার মুল্য কেজি প্রতি প্রায় কয়েক লক্ষ টাকা। আর এ ধরণের মাছ যেমন দাতিনা, কইয়া ভোল, দাতিনা ভোল, লাল ভোল ও জাবা মাছের ফুলকী বহু মুল্যবান বলে জানায় মাছ ব্যাবসায়ীরা।

মোংলা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে ও মৎস্য সমবায় সমিতি সভাপতি মো: আফজাল ফরাজী বলেন,
দাতিনা ভোল মাছটি এ অঞ্চলে খুবই কম পাওয়া যায়। মোাংলা পশুর নদী বা সুন্দরবন সংলগ্ন নদ-নদীতে আগে দুই-একটি মাছ পাওয়া গেলেও এখন কিছু জেলে সেজে দুর্বৃত্ত সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ মারার ফলে এদিকে এখন আর এ মাহ মুল্যবান মাছ পাওয়া যায় না। মূলত এ মাছের ফুলকী-প্যাটা ও বালিশের কারণে দাম প্রচুর বেশি। এই মাছের প্যাটা ও বালিশ বিদেশে রপ্তানী হয় এবং এ দিয়ে নাকি মেডিসিন তৈরি করা হয় বলে জানায় সমিতির এ নেতা।

দীর্ঘ ১০ বছরেও বিরল প্রজাতির দাতিনা ভোল মাছ মোংলা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র আসেনী। তবে দুবলার চর থেকে ক্রয় করা এ মাছ দুটি চট্রগ্রামে আরো বেশী দামে বিক্রি হবে বলে জানায় ব্যাবসায়ীদের।




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!