সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি প্রধান বেগম খালেদা জিয়া অসুস্থ হয়ে আজ ফের হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। অপরদিকে সাবেক ফাস্ট লেডি ও বিরোধী দলীয় নেত্রী বেগম রওশন এরশাদকে সিঙ্গাপুর হাসপাতালে অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে এ দু’নেত্রী অসুস্থ এবং পর্যায়ক্রমে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন হওয়ায় দলীয় কর্মীরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। দু’ বছর পর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কর্মীরা প্রত্যাশার প্রহর গুনছেন।
শারীরিক অবস্থার কিছুটা অবনতি হওয়ায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিট- সিসিইউতে নেয়া হয়েছে।
বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার কিছুটা অবনতি হওয়ায় তাকে অবজারভেশনের জন্য সিসিইউতে নেয়া হয়েছে। সিসিইউতে নেয়ার পর যে ধরণের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয় সেই পরীক্ষা চলমান রয়েছে।
গুলশানের বাসভবন ফিরোজা থেকে শনিবার বিকেলে খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ারে নিয়ে যাওয়া হয়। বিএনপি থেকে বলা হয়, ফলোআপ চিকিৎসার জন্য তাকে আবার হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
এর আগে ২৬ দিন এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়ার পর ৭ নভেম্বর সন্ধ্যায় বাসায় ফেরেন খালেদা জিয়া।
অপরদিকে জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ থাইল্যান্ডের ব্যাংককের হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাকে অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছে।
রোববার বিকেলে ছেলে সাদ এরশাদ বলেন, আম্মার অবস্থা খুব বেশি ভালো বলা যাবে না। আবার খুব বেশি খারাপও না। বাম পায়ে ইনফেকশন হয়েছে। চিকিৎসা চলছে।
মায়ের জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়ে জাতীয় পার্টির যুগ্ম সম্পাদক সাদ এরশাদ জানান, সবকিছু মিলিয়েই তার চিকিৎসা চলছে। পুরোপুরি সুস্থ হতে সময় লাগবে।
গত ৫ নভেম্বর বিকেলে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে উন্নত চিকিৎসার জন্য রওশন এরশাদকে থাইল্যান্ডে নেওয়া হয়। ১৪ আগস্ট রওশন এরশাদের ফুসফুসে জটিলতা দেখা দেয়। অক্সিজেন লেভেল কমতে শুরু করলে তাকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সেখানে বেশ কিছুদিন তাকে আইসিইউতে রাখা হয়। অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলে কেবিনে নেওয়া হয়। হাসপাতালে থাকাকালে গত ২০ অক্টোবর আবারও তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। পরে দ্বিতীয় দফায় আইসিইউতে নেওয়া হয়।
এর আগে, টানা ২৪ দিন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে ২৩ মে বাসায় ফেরেন। ফুসফুসের সমস্যাসহ বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছেন প্রবীণ এ রাজনীতিবিদ।
খুলনা গেজেট/ টি আই