দুদক কর্মকর্তা পরিচয়ে নগরীতে সক্রিয় রয়েছে প্রতারক চক্র। তারা বিভিন্ন সরকারি ও আধাসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা এবং ব্যবসায়ীদের কাছে দুদক পরিচয় দিয়ে সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করছে। এমনি এক ঘটনা ঘটেছে মঙ্গলবার দুপুরে নগরীতে। এসময় খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের এক নেতাকে ফোন দিয়ে হুমকিও দেওয়া হয়।
অভিযোগে জানা যায়, খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক ও চেম্বার অফ কমার্সের পরিচালক মো: জোবায়ের আহমেদ খান জবার ব্যবহৃত মোবাইল ০১৭১১২৯৮২৫৩ নম্বরে দুপুরে ০১৩২৩৩৮০২৩৯ নম্বর থেকে ফোন আসে। বিপরীত থেকে তাকে বলা হয় দুদক খুলনা কার্যালয় থেকে ফোন করা হয়েছে। নাম জানতে চাইলে তিনি নাম বলেননি। পরে তাকে দেখে নেওয়ার হুমকিও দেয়।
এ ব্যাপারে জোবায়ের আহমেদ খান জবা খুলনা গেজেটকে বলেন, দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে ফোন করে তাকে দুদক কর্মকর্তার পরিচয় দেওয়া হয়। প্রথমে তার নাম জানতে চান বিপরীত থেকে। পরে তিনি পরিচয় দেন। তাকে বিভিন্ন ধরণের প্রশ্ন করেন ভুয়া পরিচয় দানকারী ব্যক্তি। জবা উল্টাপাল্টা উত্তর দিতে থাকলে বিপরীত প্রান্ত থেকে তাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে ফোন কেটে দেয়। তিনি আরও বলেন, ঢাকায় তাদের বাড়ির পাশে দুদকের কার্যালয় রয়েছে। ওই কার্যালয়ে ফোন করে জানতে চাইলে সেখান থেকে জানানো হয়, এরকম ফোন দুদক থেকে করা হয় না।
ফোনে ট্রু কলার অপশন অন থাকায় সেখানে ভুয়া দুদক কর্মকর্তা নাম তার স্ক্রিনে ভেসে ওঠে। বিষয়টি স্ক্রিনশট দিয়ে তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দিলে মুহুর্তের মধ্যে তা ভাইরাল হয়ে যায়।
এ বিষয়ে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের একজন প্রকৌশলী জবার ষ্ট্যাটাস দেখে সেখানে মন্তব্য করেছেন, “এর আগে আমাকে একবার এ চক্রটি ফোন দিয়েছিল। বিভিন্ন ধরণের হুমকিও দিয়েছিল।”