দক্ষিণ আফ্রিকা ১৬৭-৪ (ডি কক ৬০, মার্করাম ৭০; ফিদেল এডওয়ার্ডস ১৯/৩)
উইন্ডিজ ১৪২/৯ (লুইস ৫২; শামসি ১১/১, এনগিডি ৩২/৩, রাবাদা ২৪/২)
ফলাফল- দক্ষিণ আফ্রিকা ২৫ রানে জয়ী
ম্যাচসেরা-এইডেন মার্করাম
সিরিজসেরা -তাবরাইজ শামসি
মার্চ ২০১৯ এর পর থেকে দক্ষিণ আফ্রিকা টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলেছে আরও পাঁচটি। জেতেনি একটিতেও। সেই খরাটা প্রোটিয়ারা কাটাল উইন্ডিজের বিপক্ষে। সিরিজের শেষ ম্যাচে ক্যারিবীয়দের ২৫ রানে হারিয়ে ৩-২ ব্যবধানে সিরিজটা নিজেদের করে নিয়েছে টেম্বা বাবুভার দল।
টেস্ট সিরিজে উইন্ডিজকে দাঁড়াতেই দেয়নি দক্ষিণ আফ্রিকা। সেই দলটাই টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে উইন্ডিজের কাছে দুমড়ে মুচড়ে গিয়েছিল রীতিমতো। এর পরের দুই ম্যাচে জিতে অবশ্য সিরিজে এগিয়ে গিয়েছিল, চতুর্থ ম্যাচে দারুণ উত্তেজনার পর হেরেছিল এক রানে। ফলে পঞ্চম ম্যাচের আগে সিরিজে ছিল ২-২ সমতা।
গ্রেনাডায় সিরিজের পঞ্চম ম্যাচে শুরুতে ব্যাট করেছিল প্রোটিয়ারাই। টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়ে যে ভুল করেননি অধিনায়ক বাভুমা, সেটাই বুঝিয়ে দিচ্ছিলেন দুই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান কুইন্টন ডি কক ও এইডেন মার্করাম।
বাভুমা শুরুতে ফিরলেও পরিস্থিতি সামলায় পরের জুটি। ডি কক রানে আছেন পুরো সিরিজেই। সে ধারাটা ভাঙেনি শেষ ম্যাচে এসেও। সঙ্গে যোগ হয়েছিল মার্করামের যোগ্য সাহচর্য, তাতে শুরুর ছয় ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকা তোলে ৪৯ রান। এরপর সাধারণত রানের গতি খানিকটা স্তিমিত হয়ে আসে, সেখানে এই জুটির কল্যাণে সাত থেকে ১৫ ওভারে দলটি তোপে ৯.৬৬ গড়ে ৮৯ রান। দুজনের জুটিতে ১২৮ রান বড় স্কোরের ভিত গড়ে দেয় দক্ষিণ আফ্রিকাকে। ৬০ রান করে ডি কক ফিরলেও মার্করামের লড়াই চলেছে আরও কিছুক্ষণ। শেষমেশ দলীয় ১৪৪ রানে থামেন তিনিও।
এরপর দ্রুত রাসি ফন ডার ডাসেনকে হারালেও শেষদিকে ডেভিড মিলার ও ওয়িয়ানে মুল্ডারের দৃঢ়তায় দক্ষিণ আফ্রিকা স্কোরবোর্ডে যোগ করে ১৬৭ রান। উইন্ডিজ বোলারদের ভেতর কেবল ফিদেল এডওয়ার্ডসই কেবল একাধিক উইকেট শিকার করেন, ১৯ রানে তুলে নেন ২ উইকেট।
চলতি সিরিজে ব্যাটসম্যানরা ভালো করলেও ক্যারিবিয়ান দলটির বোলাররা ছিলেন দারুণ নিস্প্রভ। দুই দলের বোলারদের মাঝে পার্থক্য গড়ে দেন তাবরাইজ শামসি। স্পিন জালে বিভ্রান্ত হয়ে সেই যে রানরেটে পিছিয়ে পড়ে ক্যারিবিয়ানরা, সেখান থেকে আর ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব হয়নি তাদের। ইনিংসের মাঝপথ পর্যন্ত এভিন লুইস তাও দলকে টেনে নিয়ে যাচ্ছিলেন ভালোভাবেই। কিন্তু ইনিংসের দশম ওভারে তিনিও ফিরলে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ১৪২ রানে গিয়ে থামে উইন্ডিজের ইনিংস।
খুলনা গেগেট/ টি আই