দিনাজপুরের চিরিরবন্দরের এক নারী ও তার ছেলেকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবির অভিযোগে রংপুর সিআইডির ৩ সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। সদর উপজেলার বাশেরহাট থেকে মঙ্গলবার বিকেলে তাদের আটক করা হলেও বিষয়টি বুধবার জানাজানি হয়।
আটক তিনজন হলেন রংপুর সিআইডির এএসপি সারোয়ার কবির, এএসআই হাসিনুর রহমান ও কনস্টেবল আহসানুল হক। স্থানীয় একাধিক সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তবে পুলিশ কর্মকর্তাদের কেউই বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি।
ওই সূত্রগুলো জানিয়েছে, চিরিরবন্দরের পলাশ নামের এক ব্যক্তি লুৎফর রহমান নামের আরেক ব্যক্তির বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে ৫০ লাখ টাকা প্রতারণার একটি অভিযোগ রংপুর সিআইডি কার্যালয়ে করেন। এ ঘটনাটি চলতি মাসের শুরুর দিকের।
লুৎফরের ভাগ্নে শামসুল আলম মানিক জানান, সিআইডির এএসপি সারোয়ার কবিরের নেতৃত্বে একটি দল গত সোমবার রাত সাড়ে ৯টায় চিরিরবন্দরে গিয়ে তার মামার বাড়িতে অভিযান চালায়। লুৎফরকে না পেয়ে তার স্ত্রী জহুরা বেগম ও ছেলে মো. জাহাঙ্গীরকে একটি মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায় তারা।
মানিক আরও জানান, লুৎফর রহমানকে ফোন করে তার স্ত্রী-সন্তানের মুক্তির বিনিময়ে ১৫ লাখ টাকা দাবি করা হয়। টাকা নিতে মঙ্গলবার বিকেলে সিআইডি কর্মকর্তাদের দিনাজপুর সদর উপজেলার বাশেরহাটে আসতে বলেন লুৎফর। এর আগেই বিষয়টি তিনি চিরিরবন্দর থানা পুলিশকে জানিয়ে রাখেন।
সিআইডির ওই পুলিশ সদস্য বাশেরহাটে পৌঁছালে জেলা পুলিশ তাদের আটক করে চিরিরবন্দর থানায় নিয়ে যায়। সেখান থেকে রাতে তাদের সদরের পুলিশ সুপার কার্যালয়ে নেয়া হয়।
এ বিষয়ে চিরিরবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুব্রত কুমার সরকারকে ফোন দেয়া হলে তিনি জেলা পুলিশ সুপারের সাথে কথা বলার জন্য বলেন।
জেলা পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেনকে একাধিকবার ফোন দেয়া হলেও তিনি সাড়া দেননি।
রংপুর সিআইডির কর্মকর্তারাও এ নিয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি।
খুলনা গেজেট/এনএম