ভারতের চলচ্চিত্রের সম্মানজনক পুরস্কার ‘দাদাসাহেব ফালকে’। চলচ্চিত্রে বিশেষ অবদান রাখার জন্য ১৯৬৯ সাল থেকে ভারতে প্রতিবছরই এই পুরস্কার দেওয়া হয়। এবার দাদাসাহেব ফালকে অ্যাওয়ার্ড সম্মানে ভূষিত করা হলো দাক্ষিণের সুপারস্টার রজনীকান্তকে।
বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ২০১৯ সালের এই পুরস্কারের ঘোষণা করলেন তিনি।
এছাড়া ভারতীয় সিনেমার অন্যতম সেরা অভিনেতাকে বাছার জন্য জুরি মেম্বার আশা ভোঁসলে, সুভাষ ঘাই, শংকর মহাদেবন, বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায় এবং মোহনলালকে ধন্যবাদও দিয়েছেন জাভড়েকর।
দক্ষিণের এই সুপারস্টার দাদাসাহেব ফালকে অ্যাওয়ার্ড পাওয়ায় তাকে শুভকামনা জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
১৯৫০ সালে বেঙ্গালুরুর মারাঠি পরিবারে জন্ম রজনীকান্তের। জন্মসূত্রে তার নাম শিবাজি রাও গায়কোয়াড়। বাড়িতে মারাঠি ভাষা বললেও বাইরে কান্নাড়া ভাষায় স্বচ্ছন্দ ছিলেন রজনীকান্ত।
সংসারের হাল ধরতে কখনও কুলির কাজ করেছেন, কখনও বাস কন্ডাক্টার হিসেবে কাজ করেছেন। পরে মাদ্রাজ ফিল্ম ইনস্টিটিউটে ভর্তি হন। সেখানে পড়াশোনার সময়ই পরিচালক কে বালাচান্দেরের নজরে পড়ে যান। তার পরিচালিত তামিল ছবি ‘অপূর্ব রাগানাঙ্গাল’ দিয়েই সিনেমার জগতে যাত্রা শুরু করেন রজনীকান্ত। ১৯৭৫ সালে মুক্তি পেয়েছিল ছবিটি। তারপর দশকের পর দশক ধরে চলমান চিত্রে নিজের একাধিপত্য বিস্তার করেছেন। শুধু দক্ষিণী সিনেমা নয়, হিন্দি সিনেমার জগতেও নিজের প্রতিভার পরিচয় রেখেছেন।
গত বছরের শেষের দিকে রজনীকান্ত নিজের আলাদা দল গঠন করে রাজনীতির ময়দানে নামার কথা জানিয়েছিলেন। কিন্তু আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়েন ৭০ বছর বয়সী এই তারকা। রক্তচাপজনিত সমস্যার কারণে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয় তাকে। তারপরই জানিয়ে দেন, শারীরিক পরিস্থিতির কথা মাথায় তিনি এই মুহূর্তে রাজনীতিতে আসছেন না।
খুলনা গেজেট/এনএম