সাতক্ষীরার আশাশুনিতে ইউএনও আসার খবরে দৌড়ে পালালেন দাখিল পরীক্ষার শিক্ষার্থী সেজে প্রক্সি দিতে আসা হাজীপুর জনাব আলী দাখিল মাদ্রাসার এক নারী শিক্ষক। সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) আশাশুনি উপজেলার গুনাকরকাটি দাখিল পরীক্ষা কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।
ইউএনও ঘটনাস্থলে পৌছে প্রক্সি দেওয়া নারীকে না পেয়ে তার বিরুদ্ধে নিয়মিত আইনে মামলা দায়ের করার নির্দেশ দিয়েছেন।
জানা গেছে, হাজীপুর জনাব আলী দাখিল মাদ্রাসা থেকে দাখিল পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন করানো হয় লিপিকা নামের এক শিক্ষার্থীকে। কিন্তু লিপিকার পরিবর্তে পরীক্ষায় নিয়মিত প্রক্সি দিয়ে আসছিলেন ওই মাদ্রাসার নারী শিক্ষক আশাশুনি উপজেলার বাকড়া এলাকার মৃত সোরবাব আলীর মেয়ে হেনা খাতুন।
বিষয়টি অন্যান্য শিক্ষার্থীদের নজরে আসলে শুরু হয় সমালোচনা। সোমবার কৃষি শিক্ষা বিষয়ের পরীক্ষা চলাকালিন সময়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ইয়ানুর রহমান ওই কেন্দ্রে যান। কিন্তু ইউএনও আসার খবর পেয়ে আগেই কেন্দ্র থেকে পালিয়ে যান ওই নারী শিক্ষক হেনা খাতুন।
এ ব্যাপারে আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইয়ানুর রহমান জানান, প্রক্সির খবর পেয়ে কেন্দ্র পৌছে মেয়েটিকে পাওয়া যায়নি। তিনি ওই মাদ্রাসার শিক্ষক কিনা সেটি আমার জানা নেই। তবে কেন্দ্র সচিবকে নির্দেশ দিয়েছি তার বিরুদ্ধে নিয়মিত আইনে মামলা দায়ের করার জন্য।
এ বিষয়ে জানার জন্য কেন্দ্র সচিব নৈকাটি দাখিল মাদ্রাসার সুপার ইমদাদুল হকের ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারে সোমবার সন্ধ্যায় একাধিবার ফোন দিলেও সংযোগ পাওয়া যায়নি।