খুলনার দাকোপ উপজেলার কামারখোলা গ্রামে বিষমুক্ত সবজি চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন গাজী বেলাল আহমেদ নামের এক কৃষক।
গতকাল সোমবার দুপুরে বেলাল আহম্মেদের বেগুনখেতে গিয়ে কথা হলে তিনি জানান, দক্ষিণাঞ্চলের যে কয়টি গ্রাম প্রলয়কারী ঘূর্ণিঝড় আইলায় বিধস্ত হয়েছিল তারমধ্যে অন্যতম কামারখোলা ইউনিয়ন। ২০০৯ সালের মে মাসে লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় কামারখোলা ও সুতারখালী ইউনিয়ন দুটি। ক্ষতিগ্রস্থ এলাকার মানুষের জীবনযাপন করেন খোলা আকাশের নীচে ভেড়িবাঁধের ওপর।
তিনি বলেন, আইলার পর থেকে প্রায় ১বিঘা জমিতে বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করছি নিজ উদ্যোগে। যেমন লালশাক, পালনশাক, বেগুন, ওলকপি ও আলু। মৌসুমের শুরুতেই এলাকার মানুষ পরিবারের পুষ্টিচাহিদা মেটাতে স্থানীয় বাজারসহ বাড়ি আঙিনা থেকে প্রতিদিন সবজি কিনে নিয়ে যাচ্ছে।
বেলাল বলেন, সংসারের চহিদা মিটিয়ে কয়েকদিন হচ্ছে খেত থেকে লালশাক ও ওলকপি তুলে বিক্রি করে শেষ করেছি। এ বছর শীতের সবজি বাজারে দাম থাকায় ওলকপি কেজি প্রতি ৮০ টাকা থেকে শুরু করে ৪০ টাকা পর্যন্ত, বেগুন ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছি। খেত থেকে প্রতি সপ্তাহে ৪ মণের বেশি বেগুন তোলা হয়। আগামী আরও এক মাস খেত থেকে বেগুন তুলে বিক্রি করা যাবে। সবজি চাষের জন্যে সবমিলে খরচ হয়েছে ২৫ হাজার থেকে ২৬ হাজার টাকা। এ পর্যন্ত তিনমাসে ৮০ থেকে ৯০ হাজার টাকার সবজি বেচাবিক্রি হয়েছে।
তিনি জানান, কৃষিকাজের মাধ্যমে খাদ্য নিরাপত্তাব্যবস্থা নিশ্চিত করতে নিরাপদ সবজি উৎপাদনের লক্ষে নিয়মিত সবজির খেতে পরিশ্রম করে যাচ্ছি। আমার কৃষিকাজ দেখে এলাকার অনেকেই এখন সবজি চাষে ঝুঁকেছেন।
খুলনা গেজেট / এআর