খুলনার দাকোপ উপজেলার ডাকাতিয়া খালের ইজারাকে কেন্দ্র করে বিএনপি’র দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনার পর এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ ঘটনায় গুরুতর জখম এএসআই আজাহার উদ্দিনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় মঙ্গলবার ভোরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়া হয়েছে। এদিকে মারামারির ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। রাতেই দুই গ্রুপের দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, সোমবার বিকেল ৫টা ২০ মিনিটের দিকে চালনা বাজারে বিএনপি’র দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দু’জন পুলিশসহ পাঁচজন আহত হয়। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে এক পুলিশ সদস্যের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে খুলনার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
স্থানীয়রা আরও জানায়, সোমবার বেলা ২টার দিকে দাকোপ উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সরকারিভাবে ডাকাতিয়ার বিল ইজারা ডাকা হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দাকোপ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ের নিচতলায় চালনা পৌর বিএনপি’র আহ্বায়ক মোজাফ্ফর হোসেন এবং খুলনা জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শাকিল আহমেদ দিলু একে অপরের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে তা হাতাহাতিতে রূপ নেয়।
পরে বিকেলে আবার ওই দুই গ্রুপ সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সংঘর্ষে দাকোপ থানা-পুলিশের এএসআই আজাহার উদ্দিনসহ পাঁচজন আহত হন। সংঘর্ষ চলাকালে ইটের আঘাতে এএসআই আজাহার উদ্দিনের মাথার হাড় ভেঙে যায়। তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে খুলনার গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। আহত অন্য চারজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
জানতে চাইলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল সি) শফিকুর রহমান বলেন, আহত এএসআই আজহারের অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় মঙ্গলবার ভোরে তাকে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়া সন্ত্রাসী ঘটনায় রাতে দাকোপ থানায় একটি মামলা হয়েছে। দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এদিকে ঘটনার পর চালনা পৌরসভার ডাকবাংলো মোড় ও আশপাশের এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। এলাকার দোকানপাট বন্ধ করে পুলিশ ও সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানান ওসি সিরাজুল ইসলাম।
খুলনা গেজেট/সাগর/এনএম