বাগেরহাটের চিতলমারীতে গত দুই-তিন দিন ধরে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বাড়িতে গিয়ে ধর্ণা দিচ্ছেন সমীর মন্ডল (৪২)। রাজনৈতিক প্রয়োজনে তাঁর দলীয় প্রত্যয়নপত্র খুব দরকার। কিন্তু উপরমহলের দোহাই দিয়ে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক তাঁকে প্রত্যয়নপত্র দিচ্ছেন না। এমন অভিযোগ তুলে মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) বিকেলে উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সম্পাদকের কাছে সমীর মন্ডল লিখিত আবেদন করেছেন। সমীর মন্ডল উপজেলার চরবানিয়ারী ইউনিয়নের খড়মখালী গ্রামের শান্তি রঞ্জন মন্ডলের ছেলে ও ওই ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড যুবলীগের সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি।
সমীর মন্ডল তাঁর অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করেছেন, সামনে যুবলীগের সম্মেলন। তিনি চরবানিয়ারী ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক পদে ফরম কিনেছেন। তাই তাঁর ফরম জমা দিতে হলে দলীয় নিয়মানুযায়ী চরবানিয়ারী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সম্পাদকের প্রত্যয়নপত্র একান্ত প্রয়োজন। কিন্ত গত দুই-তিন দিন ধরে তিনি চরবানিয়ারী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রফুল্ল কুমার মন্ডল ও সাধারণ সম্পাদক রনজিৎ কুমার বাড়ই কাছে দলীয় প্রত্যয়নপত্রের জন্য যান। তাঁরা উপরমহলের দোহাই দিয়ে কোন কিছুতেই তাঁকে দলীয় প্রত্যয়নপত্র দেননি।
স্থানীয় সাংবাদিকদের সমীর মন্ডল জানান, আমি ছোট বেলা থেকেই ছাত্রলীগের সাথে জড়িত। দলের দুর্দিনে বহু মামলা ও হামলার শিকার হয়েছি। আমার চৌদ্দগুষ্টি আওয়ামী লীগের রাজনীতি করে। আমি দীর্ঘদিন ধরে চরবানিয়ারী ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের যুবলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছি। তারপরও দুই-তিন দিন ঘুরে আমি দলীয় প্রত্যয়নপত্র পেলাম না। বিষয়টি খুবই কষ্টদায়ক।
চিতলমারী উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের আহবায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য শান্তনু রানা রূবল বলেন, সমীর মন্ডল ছোট বেলা থেকেই ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। সে চরবানিয়ারী ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি। তাঁর দলীয় প্রত্যায়নপত্র পাওয়া উচিত ছিল।
এ ব্যাপারে জানতে চরবানিয়ারী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক রনজিৎ কুমার বাড়ইর মুঠোফোনে বাবার রিং দেওয়া হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।
তবে চরবানিয়ারী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রফুল্ল কুমার মন্ডল সাংবাদিকদের বলেন, দলীয় প্রত্যয়নপত্র আপাতত দেওয়া বন্ধ আছে। সমীর মন্ডলকে বলেছি, তোমাকে কয়েকদিন পরে প্রত্যয়নপত্র দিব।
খুলনা গেজেট/ এস আই