জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না বলেছেন, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। ‘ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে স্বাধীন বাংলাদেশে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে বাংলাদেশের মানুষ। গত ৫ আগস্ট বাংলাদেশ দ্বিতীয়বার স্বাধীনতার পরও দেশ ও বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র থেমে নেই। বিচ্ছিন্ন দু-একটি সত্য ঘটনা ছাড়া বিএনপির বিরুদ্ধে ব্যাপক অপপ্রচার হচ্ছে। সে কারণে দলটির আয়নাস্বরূপ যুবদল-স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের সাবধানে রাজনীতি করতে হবে। গণহত্যাকারী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ যা করেছে বিএনপি তা করবে না।
বুধবার (১৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বাগেরহাট স্বাধীনতা উদ্যানে ‘আমরাই গড়বো আগামীর স্বপ্নের বাংলাদেশ’ স্লোগানকে সামনে রেখে সাম্য ও মানবিক সমাজ বিনির্মাণে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের দিকনির্দেশনা মূলক যৌথ কর্মিসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমূল হাসানের সভাপতিত্বে যৌথ কর্মী সভায় আরও বক্তব্য দেন, চ্ছাসেবক দল কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি শফিউদ্দিন শফি, যুবদলের সিনিঃ যুগ্ম সম্পাদক বেল্লাল হোসেন তারেক, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দীন নাসির, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক তৌহিদুল ইতিহাস টিটু, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সমাজ সেবা সম্পাদক মামুন হাশেমী দীপু, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মশিউর রহমান যাদু প্রমুখ।
বক্তারা আরও বলেন, ফেসিবাদী সরকার বাগেরহাটে কোন উন্নয়ণ করেনি। সারাদেশের মত বাগেরহাটকেও লুটেপুটে খেয়েছে। বাগেরহাটকে তারা জিম্মি করে রেখেছিল। এখানকার মানুষ কথা বলতে পারেনি। এখন কোথায় সেই সৈরাচার হাসিনার ভাই শেখ হেলাল, শেখ তন্ময় ও তাদের দোসররা। জনগণের ভয়ে পালিয়েছে তারা। আর কখনও এদেশে আসতে পারবে না, সৈরাচারের দোসররা। এই আনন্দে কোন প্রকার উশৃঙ্খলা করা যাবে না। বিএনপি ক্ষমতার দ্বারপ্রান্তে আগামী নির্বাচন পর্যন্ত ঐক্যবদ্ধ থেকে এই সরকারকে সহযোগিতা করে যেতে হবে। আর সরকার যদি তারেক রহমান ও বিএনপিকে নিয়ে কোন ষড়যন্ত্র করে, তাহলে সেই কালোহাত ভেঙ্গে দেওয়া হবে বলে হুশিয়ারী দেন বক্তারা।
সভায়, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল বাগেরহাট জেলা ও বিভিন্ন উপজেলার কয়েক হাজার নেতাকর্মী অংশগ্রহন করেন।
খুলনা গেজেট/এএজে