নেপালের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ দিয়ে বাংলাদেশে ফুটবল মাঠে ফিরেছে দর্শক। তবে ক্রিকেটে সহসাই মাঠে দর্শক প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। ২৪ নভেম্বর শুরু হতে যাওয়া বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে দর্শকশূন্য মাঠেই হবে খেলা। নেপালের বিপক্ষে শুক্রবারের ফুটবল ম্যাচে ৮ হাজার দর্শক প্রবেশের অনুমতি ছিল বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে। কিন্তু গ্যালারিতে সেদিন দর্শক উপস্থিতি খালি চোখে মনে হয়েছে আরও কয়েক হাজার বেশি। সামাজিক দূরত্ব, মাস্ক পরা বা অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি খুব একটা মানতে দেখা যায়নি সেই দর্শকদের বড় অংশকে।
মহামারীর মধ্যে ফুটবল মাঠে দর্শক প্রবেশের অনুমতি দেওয়া ঠিক হয়েছে কিনা, সেটি নিয়ে যথেষ্টই সংশয় আছে বিসিবি কর্তাদের। বোর্ড পরিচালক ও মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, ক্রিকেটে এরকম ঝুঁকি নেওয়া হবে না। “ আপনাদের কি মনে হয়, কোভিড পরিস্থিতে এটা কি ভালো হলো (দর্শক প্রবেশের অনুমতি দেওয়া)? জানি, এটা আবেগের ব্যাপার। অনেকদিন পর ফুটবল খেলা শুরু হয়েছে, সেখানে দর্শক এসেছে। কিন্তু আমরা দর্শক ও বাকি সবার কথা চিন্তা করেই দর্শক অ্যালাউ করব না। এটাই আমাদের পরিকল্পনা, দর্শকশূন্য মাঠ থাকবে।” গত মাসে তিন দলের প্রেসিডেন্ট’স কাপ ওয়ানডেতেও খেলা হয়েছে গ্যালারিতে দর্শক ছাড়া। বিপিএলে বরাবরই জাঁকমজকপূর্ণ উদ্বোধনী কনসার্ট বা কোনো আয়োজন করে বিসিবি। কোভিড পরিস্থিতিতে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে কোনো উদ্বোধনী অনুষ্ঠান থাকছে না।
ক্রিকেটার ও সংশ্লিষ্টদের হোটেলে রেখে জৈব-সুরক্ষা বলয় তৈরি করে আয়োজন করা হবে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ। কোভিড পরীক্ষায় নেগেটিভ হওয়া সাপেক্ষে ২০ নভেম্বর নাগাদ ক্রিকেটাররা হোটেলে উঠবেন বলে জানালেন জালাল ইউনুস। যথেষ্ট সতর্কতার পরও অবশ্য করোনাভাইরাস প্রবলভাবেই হানা দিয়েছে ক্রিকেটাঙ্গনে। দুই সিনিয়র ক্রিকেটার মাহমুদউল্লাহ ও মুমিনুল হক এবং জাতীয় নির্বাচক হাবিবুল বাশার আক্রান্ত হয়ে এখন আইসোলেশনে আছেন। আগে আক্রান্ত হয়ে সেরে উঠেছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা, সাইফ হাসান, নাজমুল ইসলাম অপু, আবু জায়েদ চৌধুরিরা।
বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টির জৈব-সুরক্ষা বলয় শুরুর আগে আপাতত আনুষ্ঠানিক কোনো ক্রিকেট কার্যক্রম না থাকলেও ক্রিকেটারদের নিয়মিতই দেখা যাচ্ছে মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে। ব্যক্তিগতভাবে অনুশীলন চালিয়ে যাচ্ছেন মুশফিকুর রহিম, ইমরুল কায়েস, সৌম্য সরকার, আল আমিন হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজরা।
ক্রিকেটারদের আগ্রহে বিসিবি অনুশীলনের ব্যবস্থা রেখেছে বটে, তবে তাদেরকে অনুৎসাহিতও করছে বোর্ড। জালাল ইউনুস সতর্কবার্তা শোনালেন ক্রিকেটারদের।
“ কেউ যদি ঝুঁকি নিতে চায়, তাহলে করতে পারে (অনুশীলন)। আমরা চাই, যারা স্পন্সরদের অধীনে চলে এসেছে, সেসব খেলোয়াড়রা তাদের আয়োজনের মধ্যেই অনুশীলন করুক। কারণ, দুই-একজন ইতোমধ্যে করোনা পজিটিভ হয়েছেন। টুর্নামেন্টের সময় যাতে কেউ আক্রান্ত না হয়, সে জন্য তারা যেন বায়ো-বাবলে প্রবেশের পরই অনুশীলন করে।”
৫ দলের এই আসরের সূচি শনিবার প্রকাশ করেছে বিসিবি। প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হবে বেক্সিমকো ঢাকা ও মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী। ২৪ ম্যাচের প্রতিটিই হবে মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে। শুক্রবার ছাড়া অন্য দিনগুলোয় প্রথম ম্যাচ শুরু দুপুর দেড়টায়, দ্বিতীয় ম্যাচ সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায়। শুক্রবার প্রথম ম্যাচ দুপুর ২টায়, পরের ম্যাচ সন্ধ্যা ৭টায়।
খুলনা গেজেট/এএমআর