খুলনা, বাংলাদেশ | ১০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৫ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  হাইব্রিড মডেলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি, রাজি পাকিস্তান; ভারতের ম্যাচ দুবাইয়ে : বিসিবিআই সূত্র
  গুমের দায়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ২২ সদস্য চাকরিচ্যুত, গুম কমিশনের সুপারিশে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে
বেলার কর্মশালা

দখল, দূষণসহ ৬ কারণে খুলনা বিভাগের ২২ নদী সংকটাপন্ন

নিজস্ব প্রতিবেদক

নদী দখল করে স্থাপনা নির্মাণ, শিল্প কারখানার দূষণ, পলি ভরাটসহ ৭টি কারণে খুলনা বিভাগের ২২টি নদী সংকটাপন্ন অবস্থায় রয়েছে। এর মধ্যে খুলনার ময়ূর ও কুমার নদ এবং কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহের কালিগঙ্গার অবস্থা গভীর সংকটাপন্ন। এ অবস্থায় নদী বাঁচাতে সরকার এবং স্থানীয় জনগণকে জোরারো পদক্ষেপ নিতে হবে।

খুলনা বিভাগীয় নদী বিষয়ক কর্মশালায় এ সব তথ্য উঠে আসে। মঙ্গলবার সকালে নগরীর একটি হোটেলে এই কর্মশালার আয়োজন করে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবীদ সমিতি (বেলা)।

কর্মশালায় জানানো হয়, খুলনা বিভাগে মোট ৮৭টি নদ-নদী রয়েছে। এর মধ্যে ৫২টি স্থানীয় নদী, ৫টি আঞ্চলিক নদী, ৮টি সীমান্ত নদী এবং তালিকাবিহীন নদী রয়েছে ২২টি। মূলত নদী দখল করে স্থাপনা, দূষণ, নদীতে অপরিকল্পনাভাবে বাঁধ, সেতু ও স্লুইচগেট নির্মাণ, খালের সঙ্গে নদীর সংযোগ বিচ্ছিন্ন, নদীগর্ভে পলির অবক্ষেপন ও পলির অব্যবস্থাপনার কারণে নদীর অবস্থা সংকটাপন্ন হয়ে উঠছে।

কর্মশালার সঞ্চালক বেলার প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান বলেন, নদীর সঙ্গে মানুষের আত্মার সম্পর্কে আছে। নদীর পানির স্রোত আমাদের বাঁচিয়ে রেখেছে। নদীকে আমরা মেরে ফেলতে পারি কিন্তু সৃষ্টি করতে পারি না। নদীকে বাঁচাতে না পারলে নিজেরাও বাঁচাতে পারবো না। আমাদের আগামী প্রজন্মকে সুন্দরভাবে বাঁচানোর জন্য নদীকে রক্ষা করা আমাদের সকলের দায়িত্ব।

কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন খাস জমি ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্বাহী পরিচালক সামছুল হুদা। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন খুলনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মুকুল কুমার মৈত্র ও পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আরেফিন বাদল। শুরুতে ‘খুলনা বিভাগের নদ-নদী পরিস্থিতি : সংকট ও করণীয়’ বিষয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন বেলার বিভাগীয় সমন্বয়কারী মাহফুজুর রহমান মুকুল।

কর্মশালায় নদী বাঁচাতে বেশকিছু সুপারিশ করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে পানি প্রবাহে বাঁধা সৃষ্টিকারী সকল অবৈধ বাঁধ অপসারণ, সকল চর দখলমুক্ত করা, পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ এবং পরিবেশ বিধিমালা ১৯৯৭ কে বিবেচনায় রেখে নদীর দূষণ ও দখলমুক্ত করা, ১৯৯৫ সালের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী নদী-খাল ইজারা বন্ধ করা, পর্যায়ক্রমে নদীর সকল ধরনের বাঁধা অপসারণ, হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী নদের সঠিক সীমানা নির্ধারণ করা এবং নদীর সঠিক সীমানা নির্ধারণ করে সীমানা সুরক্ষায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এগিয়ে আসতে হবে।

খুলনা গেজেট/ টিএ




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!