দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট পার্ক জিউন হাই। প্রায় তিন বছর কারান্তরীণ থাকার পর এবার মুক্তি পেতে যাচ্ছেন। রাষ্ট্রীয় নথি ফাঁস করার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায়, শুরুতে আদালত পার্ককে ৩০ বছরের কারাদণ্ড ও ২০ বিলিয়ন ওন (১৬.৪ মিলিয়ন ডলার) জরিমানা করে। পরে উচ্চ আদালত শাস্তি কমিয়ে দুর্নীতির দায়ে ১৫ বছর এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের দায়ে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয়।
দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের দায়ে অভিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট পার্ক জিউন হাই। যিনি ছিলেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট এবং দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট পার্ক চুং-হির কন্যা। প্রায় তিন বছর কারান্তরীণ থাকার পর এবার মুক্তি পেতে যাচ্ছেন।
বিবিসির প্রতিবেদনে জানা যায়, পার্ক জিউন হাই রাষ্ট্রীয় ক্ষমাপ্রাপ্ত হয়েছেন। দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট মুন জায় ইন তাকে ক্ষমা করেছেন।
৬৯ বছর বয়সী পার্ক জিউন হাই প্রেসিডেন্ট থাকাবস্থায় ২০১৮ সালে দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের দায়ে অভিশংসিত হন।
রাষ্ট্রীয় নথি ফাঁস করার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় শুরুতে আদালত পার্ককে ৩০ বছরের কারাদণ্ড ও ২০ বিলিয়ন ওন (১৬.৪ মিলিয়ন ডলার) জরিমানা করে। পরে উচ্চ আদালত শাস্তি কমিয়ে দুর্নীতির দায়ে ১৫ বছর এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের দায়ে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয়।
তিনি বার্ধক্যজনিত নানা শারীরিক সমস্যায় জর্জরিত। কারাগারে থাকা অবস্থাতেই পার্ক জিউন হাইকে এ বছরই তিনবার পিঠে ও কোমরে ব্যথার জন্য হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় নতুন বছর উপলক্ষে প্রেসিডেন্টের বিশেষ ক্ষমার সুবিধা পেলেন তিনি।
একই দিনে ঘুষ গ্রহণের দায়ে অভিযুক্ত হয়ে সাজাপ্রাপ্ত দেশটির প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করা হান মিয়ং-সুককেও ক্ষমা করা হয়েছে।
খুলনা গেজেট/এনএম