দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে ও এর আশপাশে প্রবল বৃষ্টিতে কমপক্ষে সাতজন মারা গেছেন। এছাড়া বৃষ্টির কারণে সেখানকার অনেক এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে এবং রাস্তা ও পাতাল রেল ডুবে গেছে।
দক্ষিণ কোরীয় কর্তৃপক্ষ মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) এই তথ্য সামনে এনেছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার রাতে সিউলের দক্ষিণ অংশে প্রতি ঘণ্টায় ১০০ মিমি এর বেশি বৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া শহরের কিছু অংশে ১৪১.৫ মিমি বৃষ্টি হয়েছে, যা কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ বৃষ্টিপাত বলে জানিয়েছে কোরিয়া আবহাওয়া প্রশাসন (কেএমএ)।
রয়টার্স বলছে, সোমবার মধ্যরাত থেকে মঙ্গলবার ভোর পাঁচটা পর্যন্ত সিউলে সর্বমোট ৪২০ মিমি বৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া আজ সারাদিন আরও বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।
রাতভর বৃষ্টির কারণে পূর্ব এশিয়ার এই দেশটির গ্যাংনাম জেলায় বহু ভবন ও দোকান প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া এই জেলা বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়েছে এবং গাড়ি, বাস ও পাতাল রেল স্টেশনগুলোও ডুবে গেছে। ফলে আটকা পড়েছে অনেক মানুষ।
সিউলের ২৭ বছর বয়সী অফিস কর্মী লি ডোংহা বলেছেন, ‘বৃষ্টিপাতের তীব্রতা বৃদ্ধির সময় গত রাতে আমি গ্যাংনাম স্টেশনের কাছে ছিলাম। সেসময় প্রতি ৩০ সেকেন্ডে বজ্রপাত হচ্ছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘হঠাৎ করেই, বাস, পাতাল রেল স্টেশন ও রাস্তাগুলো বৃষ্টির পানিতে নিমজ্জিত হয়ে যায় এবং তখনই আমি দ্রুত একটি বাসস্থান বুক করার সিদ্ধান্ত নিই, কারণ এই পরিস্থিতিতে আমি কোথাও আটকে থাকতে চাইনি।’
সেন্ট্রাল ডিজাস্টার অ্যান্ড সেফটি কাউন্টারমেজারস হেডকোয়ার্টার জানিয়েছে, মঙ্গলবার ভোরে সিউলে অন্তত পাঁচজন এবং পার্শ্ববর্তী গিয়াংগি প্রদেশে আরও দু’জন মারা গেছেন। সংস্থাটি আরও বলেছে, বন্যায় প্লাবিত ভবনে আটকা পড়ে চারজন মারা গেছে এবং অন্য একজন বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে প্রাণ হারিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এছাড়া একজনকে বাসস্টপের ধ্বংসাবশেষের নিচে পাওয়া গেছে এবং অন্য একজন ভূমিধসে মারা গেছে। একইসঙ্গে প্রবল বৃষ্টিপাতের ঘটনায় অন্তত নয়জন আহত হয়েছেন এবং এখনও ছয়জন নিখোঁজ রয়েছেন।