খুলনা, বাংলাদেশ | ২ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৭ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  দেশ টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক গ্রেপ্তার

দক্ষিণ আফ্রিকায় ২০ দিনে ছয় বাংলাদেশি হত্যা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

দক্ষিণ আফ্রিকায় গত ২০ দিনে জোহানসবার্গ, ফ্রি স্টেট, ইস্টার্নকেপ, কেপটাউন প্রদেশ ও এলাকাগুলোতে ছয় বাংলাদেশিকে হত্যা করা হয়েছে। চলতি সপ্তাহের সোমবার ও মঙ্গলবার দুই বাংলাদেশিকে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়া জুন মাসের শেষ সপ্তাহে চার প্রবাসী দেশটিতে বিভিন্নভাবে অপমৃত্যুর শিকার হয়েছে।

মঙ্গলবার (১১ জুলাই) সকালে কেপটাউনের লিডেন ডেল্ফ এলাকায় নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে একদল বন্দুকধারী প্রবাসী নাজমুল হোসেনকে গুলি করে ঘটনাস্থলে মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যায়। তার দেশের বাড়ি ফেনী জেলার দাগনভূইয়া উপজেলার দুধমুখা এলাকায় বলে জানা গেছে।

এর আগে, সোমবার (১০ জুলাই) জোহানসবার্গের পস্তুরাস এলাকায় ডাকাতের গুলিতে শামীম নামের এক বাংলাদেশি খুন হয়েছে। প্রবাসীরা জানান, চাঁদা না পেয়ে দোকানের বাইরে থেকে সন্ত্রাসীরা শামীমকে লক্ষ্য করে গুলি করলে মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে তিনি মারা যান। তার দেশের বাড়ি মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলায়।

গত ২৬ জুন ফ্রি স্টেট প্রদেশের বুসাবেলোতে রিগান ইসলাম নামে এক বাংলাদেশিকে গুলি করা হত্যা করা হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আগে থেকে ওঁতপেতে থাকা সন্ত্রাসীরা এলোপাতাড়ি গুলি করে মৃত্যু নিশ্চিত করে চলে যায়। তারা ধারণা করছেন, রিগান টার্গেট কিলিংয়ের শিকার হয়েছেন।

তার আগে গত ২৫ জুন রাত সাড়ে ৭টার দিকে ইস্টার্নকেপ প্রভিন্সের স্টেকস্প্রিট শহরের পার্শ্ববর্তী এলাকায় দোকানে ঢুকে আব্দুল মতিন নামে এক প্রবাসীকে ডাকাত দল গুলি করে হত্যা করে নগদ অর্থ, মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে চলে যায়। তার দেশের বাড়ি সিরাজগঞ্জ জেলায়। তিনি দীর্ঘদিন ওই এলাকায় ব্যবসা করে আসছিলেন।

এছাড়াও গত ২৪ জুন সন্ধ্যার পর জোহানেসবার্গ শহরের ব্রামফন্টেইনে বাংলাদেশি মালিকানাধীন দোকানে ডাকাতির সময় বাধা দিতে গেলে মাকসুদুর রহমান মহসিন নামের এক প্রবাসীকে গুলি করে হত্যা করা হয়। তার দেশের বাড়ি কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি উপজেলায় বলে জানা গেছে।

একইদিন সন্ধ্যার পর জোহানেসবারর্গের সুয়েটোতে প্রবীণ বাংলাদেশি, কমিউনিটির পরিচিত মুখ মোহাম্মদ হারুন নিজ দোকানে ডাকাতদের গুলিতে নিহত হন। তার দেশের বাড়ি নোয়াখালী জেলার বসুরহাটে।

প্রবাসীদের অপমৃত্যু নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা শাখা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ও কমিউনিটি সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আনিস রহমান বলেন, প্রবাসীদের সতর্কভাবে চলাফেরা করতে হবে। পরিস্থিতি এখন অনেক কঠিন হয়ে গেছে। মরদেহ দেশে পাঠানো ও মামলা চালানোর জন্য যতটা সম্ভব ভোক্তভোগী প্রবাসীদের পাশে থেকে তাদের সহযোগিতা করে যাচ্ছি।

এদিকে সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশি খুনের ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় দেশটিতে বসবাস করে আসা প্রবাসীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!