দক্ষিণ আফ্রিকায় চলমান বিক্ষোভ, সহিংসতা ও লুটপাটের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৭৬ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়াও ১৬৮ জনকে হত্যার তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে দেশটির পুলিশ। বুধবার (২১ জুলাই) দক্ষিণ আফ্রিকার একজন মন্ত্রীর বরাত দিয়ে এ তথ্য জানায় রয়টার্স।
এদিকে এক সংবাদ সম্মেলনে রাষ্ট্রপতি বিষয়ক ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী খুম্বুডজো ন্যাশনভেনি বলেন, সহিংসতায় এখন পর্যন্ত কোয়াজুলু-নাটাল প্রদেশে ২৩৪ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া গওতেংয়ে আরও ৪২ জন নিহত হয়েছেন।
উল্লেখ্য, দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট জ্যাকব জুমাকে গ্রেফতার করার পরই বিক্ষোভ শুরু হয়। সেই বিক্ষোভ দ্রুতই সহিংস হয়ে ওঠে। দোকানপাট লুটের পাশাপাশি শুরু হয় ভাঙচুর। অনেক জায়গায় আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। জুমাকে গ্রেফতার করা নিয়ে ক্ষোভ ছিলই, তার সঙ্গে যুক্ত হয় লকডাউনে প্রচুর মানুষের চাকরি যাওয়া এবং খাদ্যদ্রব্যের দাম আকাশছোঁয়া হয়ে যাওয়ার ঘটনা।
দেশটির কোয়াজুলু-নাটাল প্রদেশের একজন মেয়র জানান, দাঙ্গা ও সহিংসতা শুরুর পর থেকে কোয়াজুলু-নাটালে কমপক্ষে ৮০০টি দোকানে লুটপাট চালানো হয়েছে। লুটপাট হওয়া পণ্যের মূল্য প্রায় ১০০ কোটি ডলার।
এদিকে সম্প্রতি গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা এ সহিংসতাকে পূর্বপরিকল্পিত বলে দাবি করেছেন। তিনি বলেন, এটা অনেকটাই পরিষ্কার যে লুটপাট ও সহিংসতার ঘটনায় মানুষকে প্ররোচনা দেওয়া হয়েছিল। অপরাধীরা দাঙ্গা সৃষ্টির পরিকল্পনা করার পাশাপাশি লুটপাটে সহায়তাও করেছিল।
খুলনা গেজেট/ টি আই