বাংলাদেশ রেলওয়ের সার্ভিস প্রোভাইডার পরিবর্তনের কারণে ট্রেনের অনলাইন টিকিট বিক্রি বন্ধ রয়েছে। শুক্রবার (২৫ মার্চ) মধ্যরাত পর্যন্ত কাউন্টার থেকে হাতে লিখে পুরনো পদ্ধতিতে টিকিট বিক্রি করা হবে।
শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে পুনরায় অনলাইনে টিকিট সংগ্রহ করা যাবে। শুরুতে শুধু ওয়েবসাইট থেকেই টিকিট সংগ্রহ করা যাবে। থাকবে না কোন মোবাইল অ্যাপ।
জানা গেছে, নতুন ওয়েবসাইট থেকে টিকিট সংগ্রহ করতে হলে প্রথমেই প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে নতুন অ্যাকাউন্ট করতে হবে। পুরনো ওয়েবসাইট বা অ্যাপের অ্যাকাউন্টের তথ্য দিয়ে নতুন সাইটে লগ-ইন করা যাবে না।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সহজ-সিনেসিস-ভিনসেন জেভি যৌথভাবে টিকিটিং সিস্টেম তৈরি করেছে। এখন চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। চলতি বছর ১৫ ফেব্রুয়ারি সহজ-এর সঙ্গে বাংলাদেশ রেলওয়ের টিকিটিং সিস্টেম পরিচালনার জন্য পাঁচ বছর মেয়াদী চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
বাস – লঞ্চ টিকিট বিক্রি করার অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে সহজ ১৫ বছর ধরে ব্যবহৃত রেল টিকিটিং সিস্টেমের আদলে একটি সমমানের পদ্ধতি মাত্র ২১ কর্মদিবসে তৈরি করেছে। উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে সহজ কাজটি পেয়েছে। এর আগে টিকিট বিক্রির দায়িত্ব পালন করেছে সিএনএস নামের একটি প্রতিষ্ঠান।
ওই চুক্তি অনুযায়ী সহজ-সিনেসিস-ভিনসেন জেভি প্রাথমিকভাবে চলমান সিসিএসআরটিএস সিস্টেমটি সচল রাখবে এবং আগামী ১৮ মাসের মধ্যে সিসিএসআরটিএস সিস্টেমটি বিআরআইটিএস দ্বারা প্রতিস্থাপিত হবে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ রেলওয়েতে ১৯৯৪ সালে কম্পিউটার ভিত্তিক টিকিটিং সিস্টেম চালু করা হয়। ২৭টি স্টেশনে কম্পিউটারের মাধ্যমে টিকিট ইস্যু করা হতো। বর্তমানে ১০৪টি আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট ৭৭টি স্টেশনে কম্পিউটারের মাধ্যমে ইস্যু করা হচ্ছে। দৈনিক প্রায় ৯০ হাজার ও মাসিক প্রায় ২৭ লাখ যাত্রীর টিকিট কম্পিউটারের মাধ্যমে ইস্যু করা হয়। এ সকল টিকিটের ৫০ শতাংশ অর্থাৎ প্রায় ১৩ লাখ টিকিট ওয়েবসাইট ও মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে ইস্যু করা হচ্ছে।
খুলনা গেজেট/ এস আই