ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত হয়ে ব্যাপক আনন্দ উল্লাসে যশোরে উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল আজহা। শনিবার ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে যশোর শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মুসল্লিরা দলে দলে জড়ো হন কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে। সকাল সাড়ে ৭টায় সেখানে অনুষ্ঠিত হয় ঈদুল আজহার প্রধান জামাত।
নামাজ শুরুর আগেই ঈদগাহ মাঠ পূর্ণ হতে থাকে মুসল্লিতে। অনেকে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে এসেছেন, কেউবা বন্ধুবান্ধব বা প্রতিবেশীর সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এসেছেন নামাজে শরিক হতে। ঈদের নতুন পোশাক, মুখে আনন্দের হাসি—সব মিলে ঈদগাহ ময়দান যেন পরিণত হয় নবীন প্রবীণদের এক মিলনমেলায়।
যশোরে ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন খতিব মাওলানা ইয়াসিন আলী। তিনি খুতবায় কুরবানির তাৎপর্য, আত্মত্যাগ ও মানবতার শিক্ষা তুলে ধরেন। বিশেষ করে তিনি মুসলিম উম্মাহর ঐক্য ও শান্তির প্রয়োজনীয়তা এবং চলমান বৈশ্বিক সংকটে ফিলিস্তিনসহ বিশ্বের নির্যাতিত মুসলমানদের জন্য দোয়া করেন।
ঈদের জামাতে অংশগ্রহণ করেন জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম, বিএনপির কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক গোলাম রসুল, পৌরসভার প্রশাসক রফিকুল হাসান, সাংবাদিকসহ শহরের বিশিষ্ট নাগরিক ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। ঈদের নামাজ ও পরবর্তী কোলাকুলির মধ্য দিয়ে শেষ হয় প্রথম জামাত। এরপর সকাল সাড়ে আটটায় ঈদগাহ ময়দানে অনুষ্ঠিত হয় ঈদের দ্বিতীয় জামাত।
এরপর বাড়ি ফিরে মুসলমানরা পশু কোরবানি দেন ও খান সেমাই পায়েস। নতুন পোশাক পরে মোহনীয় সাজে সকাল ১০টা থেকে শহর জুড়ে শুরু হয় তরুণ যুবক যুবতীদের আনন্দ উল্লাস ও আনন্দময় ঘোরাফেরা।
দিনটি উপলক্ষে হাসপাতাল এতিমখানা ও কারাগারে পরিবেশন করা হয় উন্নতমানের খাবার। এভাবেই উদযাপিত হচ্ছে যশোরে পবিত্র ঈদুল আজহা।
খুলনা গেজেট/এনএম