ছাত্রলীগের সাবেক নেতাদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আজকে আমাদের লড়তে হবে একসঙ্গে। মান-অভিমান সব ভুলে যেতে হবে। ওই পশুশক্তি যদি আরও প্রশ্রয় পায়, তাহলে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়তে হবে। আজ সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ছাত্রলীগের সাবেক নেতাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে। শেখ হাসিনাই এই মুহূর্তে আমাদের অস্তিত্বের কাণ্ডারি।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রসঙ্গে টেনে তিনি বলেন, জনগণের প্রতিরোধের মুখে পদ্মা সেতুতে আক্রমণ করতে পারেনি। কিন্তু সফল হয়েছে সেতু ভবন, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, বিটিভি ভবন, মেট্রোরেলে আক্রমণ করতে। আগুন–সন্ত্রাসের ধ্বংসলীলা আবার শুরু হয়েছে। এ নারকীয় তাণ্ডবের বিরুদ্ধে মতভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়তে হবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, জিয়াউর রহমান একজন ভণ্ড মুখোশধারী মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। এই মানুষগুলোকে আমাদের জানতে হবে। এদের ব্যাকগ্রাউন্ড জানলেই এদের উত্তরসূরিদের কর্মকাণ্ডের আসল চেহারা উন্মোচিত হবে, যা এখন উন্মোচিত হয়েছে।
সাবেক ছাত্রলীগ নেতাদের তোপের মুখে ওবায়দুল কাদের: এদিকে সভায় সাবেক ছাত্রলীগ নেতাদের তোপের মুখে পড়েন ওবায়দুল কাদের।
সাবেক ছাত্রনেতাদের মতবিনিময় সভায় ডেকে আলোচনা না করে সংবাদ সম্মেলন করায় হট্টগোল শুরু হয়। পরে সংবাদ সম্মেলন শেষ না করেই সভাস্থল ত্যাগ করেন দলের এই শীর্ষ নেতা।
বৈঠক উপস্থিত ছাত্রনেতারা জানান, সাবেক ছাত্রনেতাদের মতবিনিময় সভার জন্য ডেকে গণমাধ্যমের উদ্দেশে কথা বলা শুরু করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। এ সময় ছাত্রলীগের সাবেক নেতারা হট্টগোল শুরু করেন। তারা ওবায়দুল কাদেরকে লক্ষ্য করে বলেন, তাদের ডেকেছেন, আগে তাদের কথা শুনবেন, আলোচনা করবেন। সেটি না করে কেন গণমাধ্যমের সামনে কথা বলা শুরু করেছেন?
হট্টগোলের একপর্যায়ে কথা বলা শেষ না করে ওবায়দুল কাদের তার অফিস কক্ষে চলে যান। তখন সাবেক নেতারা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। এ সময় আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের নিচতলায় ভুয়া ভুয়া স্লোগান দেন তারা। কোনো কোনো সাবেক নেতা গণমাধ্যমকর্মীদেরও গালাগাল করেন।
খুলনা গেজেট/এএজে