খুলনা, বাংলাদেশ | ২৬শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৯ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

Breaking News

  বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অব্যাহতি দিয়ে প্রজ্ঞাপন
  সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের দেশত্যাগের ঘটনায় কিশোরগঞ্জের এসপি ও ইমিগ্রেশন পুলিশের এক কর্মকর্তা প্রত্যাহার এবং কিশোরগঞ্জে দায়েরকৃত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও এসবির এক কর্মকর্তা সাময়িক বরখাস্ত
  ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে দাঁড়িয়ে থাকা অ্যাম্বুলেন্সে বাসের ধাক্কায় নিহত ৫, গুরুতর আহত আরও ১০

তেলে কি খুশকি কমে?

লাইফস্টাইল ডেস্ক

শীতকালে এমনিতেই মাথায় খুশকি বেশি হয়। ধুলাবালি লাগার পর মাথা ঠিকমতো পরিস্কার না করলে খুশকি জমে। রোগটি বয়ঃসন্ধিকালে বা প্রাপ্তবয়স্কদের হয়। এর ফলে মাথার চামড়া চুলকায় এবং চিরুনী দিয়ে চুলকালে ভাল লাগে এবং চিরুনীর সঙ্গে খুশকিগুলো বেরিয়ে আসতে থাকে।

এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন আল-রাজি হাসপাতালের ত্বক ও যৌনরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. দিদারুল আহসান।

মাথায় যদি যৎসামান্য খুশকি হয় তা সাধারণ ব্যাপার। খুশকি বেশি হলে তাকে সেবোরিক ডার্মাটাইটিস বলে। এক্ষেত্রে খুশকির সাথে মাথা থেকে মরা চামড়া উঠে ও মাথায় প্রদাহ থাকে। খুশকিকে সবসময় নির্মূল করা সম্ভব নয়। কিছু খুশকি নিবারক শ্যাম্পু দিয়ে একে দমিয়ে রাখা যায়। দমিয়ে না রাখলে মাথার চুল ঝড়ে যেতে পারে। অনেকে মনে করেন খুশকি হলে মাথায় তেল দিতে হবে। এটি সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। তেল দেয়ার ফলে মাথায় ছত্রাকের আক্রমণ হয় এবং ক্রমান্বয়ে খুশকি বাড়তে থাকে।

অনেকেই খুশকি দমাতে খৈল ব্যবহার করেন। খৈল হচ্ছে সরিষা থেকে তেল বানাতে এক ধরনের বর্জ্য পদার্থ। খৈল ব্যবহারে খুশকি মাথার ত্বকে লেগে থাকে। তাই খুশকি দূর হয়েছে বলে মনে হয়।

যাদের খুশকি হয় তারা মাথা ভেজা রাখবেন না এবং ভেজা অবস্থায় চুল বাঁধবেনও না। চুলের নিচে পানি আটকা পড়ে ত্বক ভেজা থাকে যা খুশকি বাড়াতে সাহায্য করে। যাদের খুশকি আছে তাদের চিরুনি অন্য কেউ ব্যবহার করবেন না। কারণ খুশকি জনিত ছত্রাক একজনের মাথা থেকে অন্যের মাথায় চলে যেতে পারে।

মনে রাখবেন দেহের তেল গ্রন্থিযুক্ত স্থান যেমন- মাথার ত্বক, বুকের মাঝে, কানের পিছনে ও ভিতরে এই সেবোরিক ডার্মাটাইটিসের আক্রমণ হতে পারে। এমনকি ভুরু, নাক, ঠোঁটেও এই রোগের প্রকাশ হতে পারে। চোখের পাতায় খুশকি হলে তাকে ব্লেফাবাইটিস বলে। এতে চোখের পাতা লালচে হয় এবং সাদা আঁশের মতো মরা চামড়া উঠে।

অনেক সময় এই সমস্যার সঙ্গে বাইরের জীবাণু আক্রমণ করে একজিমার মতো সৃষ্টি করে। এই অঙ্গে আরেকটি সমস্যা প্রায়ই হতে দেখা যায়- তা হচ্ছে সোরিয়াসিস।

এ সমস্যায় মনে হয় মাথায় বেশি পরিমান খুশকি হয়েছে। সোরিয়াসিসের আইশগুলো শুকনো ও সিলভারি রঙের এবং চুলের সীমানা রেখা বরাবর এই রোগের একটি স্পষ্ট দাগ লক্ষ করা যায়।

চিকিৎসা

খুশকি ও সেবোরিক ডার্মাটাইটিসের চিকিৎসা প্রায় একই রকম। খুশকি নিবারক শ্যাম্পু যেমন- জিঙ্ক পাইরিথিওন, সেলেনিয়াম সালফাইড ও কেটোকোনাজল শ্যাম্পু ব্যবহারে খুশকি দমন করা সম্ভব। তবে যদি বেশি পরিমাণে প্রদাহের লক্ষণ থাকে তবে এর পাশাপাশি কম শক্তিশালী কর্টিসোন লোশন বা জেল ব্যবহার করা যায়।




খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!