তেরখাদা উপজেলার বিভিন্ন স্থানে সূর্যমুখী চাষ করে সাফল্য দেখছেন কৃষকরা। ক্ষেতগুলোতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফুল এসেছে। অনুকূল আবহাওয়া ও সঠিক পরিচর্যার কারনে হৃষ্টপুষ্ট ফুলগুলো সৌন্দর্য ছড়াচ্ছে আর কৃষকদের মনে দোলা দিচ্ছে বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছর ১০০ জন কৃষককে প্রনোদনা দেওয়া হয়েছে। ক্লাইমেট স্মার্ট প্রযুক্তির মাধ্যমে খুলনা কৃষি অঞ্চলের জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন প্রকল্পের আওয়ায় আদমপুর এলাকায় ১০ কৃষককে একই যায়গায় দশ বিঘা জমিতে সূর্যমুখী ভিলেজ তৈরির প্রদর্শনী দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও অন্যান্য এলাকায় ১৩ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখীর চাষ প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় কৃষকদের প্রয়োজনীয় বীজ, সার ও কীটনাশক দেয়ার পাশাপাশি পরামর্শ এবং দিকনির্দেশনাও দেয়া হচ্ছে।
সূর্যমুখীর বীজ থেকে উৎপাদিত তেল সয়াবিনের বিকল্প হিসেবে রান্নার কাজে ব্যবহার করা যায়। সূর্যমুখীর তেল স্বাস্থ্যসম্মত, এন্টি অক্সিডেন্ট যুক্ত। ১০ কেজি সূর্যমুখীর বীজ থেকে প্রায় সাড়ে ৪ কেজি তেল উৎপাদন হয়। এ বছর উপজেলায় চতুর্থ বারের মতো সূর্যমুখীর চাষ করা হচ্ছে।
উপজেলার সদর ইউনিয়নের আদমপুর গ্রামের কৃষক রোমান শেখ, হিরান মোল্লা, রুবেল, শেখ খাজামিয়া, মোহাসিন, মোঃ শহিদুল মোল্লা, আবু সাঈদ, মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন, আবুল তাজীজ শেখ, খলিলুর রহমানের জমিতে চাষ করা সূর্যমুখী ফুলের সৌন্দর্য দেখতে উপজেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রতিদিনই ফুলপ্রেমি দর্শনার্থীরা ছুটে আসছেন।
উপজেলার সদর ইউনিয়নের আদমপুর গ্রামের কৃষক রোমান শেখ জানান, এক বিঘা জমিতে হাইসান-৩৬ জাতের সূর্যমুখী আবাদ করছি। এতে তার খরচ হয়েছে দশ হাজার টাকা। শেষ পর্যন্ত যদি কোনো আপদ না এলে বা আবহাওয়া অনুকূলে থাকে ওই জমিতে দশ থেকে এগারো মণ ফলনের আশা করছেন এই কৃষক।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ শিউলি মজুমদার জানান, চলতি মৌসুমে তেরখাদা উপজেলায় ১৩ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখী চাষ হচ্ছে। কৃষকের কৃষি প্রণোদনা স্বরূপ বীজ, সারসহ বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ভালো ফলনের আশা করছি এবং কৃষকেরা ভালো ফলন পাবে।
খুলনা গেজেট/ টিএ