ঈদের আর মাত্র ১৯ দিন বাকি। মুসলমানদের সবচেয়ে বড় উৎসব ঈদ-উল-ফিতর। আর ঈদের আনন্দ পরিপূর্ণ করতে সব বয়সের মানুষের চাই নতুন পোষাক। শুধু নতুন পোষাক হলেই চলবে না, তা হতে হবে সময়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ ও পছন্দনীয়। এরই মধ্যে ভিড় বেড়ে গেছে তেরখাদা উপজেলার মার্কেট গুলোতে। পোশাকের পাশাপাশি নানা কিছুর কেনাকাটা চলছে। প্রতিদিন ক্রেতারা ছুটে আসছেন নিজেদের পছন্দের বিভিন্ন ধরনের পোশাক কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। সব মিলিয়ে আগেভাগেই জমে উঠেছে তেরখাদার ঈদ বাজার।
ক্রেতা ও ব্যবসায়ীরা বলছেন, যারা ঈদে পরিবারের সদস্যদের কেনাকাটার ঝামেলা এড়িয়ে স্বস্তিতে থাকতে চাচ্ছেন, তারা রমজানের শুরুতেই কেনাকাটা করতে দোকানে ভিড় করছেন। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন মার্কেটে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত মানুষের সরব উপস্থিতি দেখা যাচ্ছে।
উপজেলার তেরখাদা সুপার মার্কেট, কাটেংগা, জয়সেনা, এস এম মোস্তফা রশিদী সুজা মার্কেটসহ বেশ কয়েকটি মার্কেটের দোকান ঘুরে দেখা গেছে, সকাল হতে বেলা ৪টা পর্যন্ত এবং ইফতারের পর হতে রাত পর্যন্ত সময়টাকে মানুষ বেশি বেছে নিয়েছে ঈদের কেনাকাটার জন্য। বিশেষ করে যুবক, তরুণ-তরুনীদের পদচারনায় এসব মার্কেটগুলো বেশি মুখর থাকে। ঈদকে কেন্দ্র করে উপজেলার ব্যাবসায়ীরা এখন ব্যাস্ত সময় পার করছেন।
তেরখাদা সুপার মার্কেটের রাজ থ্রিপিস এর মালিক রাজনসহ বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, রমজানের শুরু থেকেই ঈদের কেনাবেচা বাড়তে শুরু হয়েছে, যা চলবে চাঁনরাত পর্যন্ত। তারা ঈদের আকর্ষনীয় পোষাক সংগ্রহ করেছে। যার মধ্যে শাড়ি, থ্রিপিচ, পাঞ্জামী, শার্ট, প্যান্টসহ ছোট ও বড়দের নানা ধরনের পোশাক দেশী পোশাকের পাশাপাশি রয়েছে ভারতীয় পোশাকের বিপুল সমাহার। নানা নামের এ সব পোশাক কিনতে কিশোর কিশোরীরা, তরুন তরুনীরা বেশী আগ্রহী।
উপজেলা সদর সহ বিভিন্ন এলাকার মার্কেট ও দোকানগুলোতে দোকানীরা তাদের দোকান সাজিয়েছেন বিভিন্ন জনপ্রিয় মুভি ও সিরিয়ালের নাম অনুসারে দেশ বিদেশী পোশাকে। অপরদিকে দর্জি দোকানগুলো মহা ব্যস্ত। ঈদকে সামনে রেখে গভীর রাত পর্যন্ত ঘুরছে দর্জি ঘরের চাকা। নাওয়া খাওয়ার সময় নেই দর্জিদের। কারন পছন্দের মত পোষাক বানাতে তরুন তরুনিরা ভীড় করছে দর্জি দোকানগুলোতে। ইতোমধ্যে অধিকাংশ দর্জি ব্যবসায়ীরা অর্ডার নেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। পোশাকের পাশাপাশি জুতা স্যান্ডেল ও কসমেটিক্সএর দোকানে জমে উঠতে শুরু করেছে বেচাকেনা। বিদেশী ব্যান্ডের পাশাপাশি দেশী জুতা স্যান্ডেলের প্রতি চাহিদা রয়েছে উপজেলার ক্রেতাদের। পোশাকের সঙ্গে মিল রেখে চুড়ি কিংবা অন্যান্য প্রসাধনী কিনতে কসমেটিক্স দোকানগুলোতে ভীড় করছেন নারীরা। সব মিলিয়ে জমতে শুরু করেছে তেরখাদা উপজেলার ঈদ বাজার।
তেরখাদা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মেহেদী হাসান ঈদ বাজার ঘিরে পুলিশ ও নিরাপত্তারক্ষীরা সতর্ক অবস্থানে আছেন বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘ঈদের কেনাকাটা ঘিরে ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। পুলিশ উপজেলার মার্কেটগুলো সামনে সতর্ক অবস্থানে আছে। যেকোনো ধরনের অপরাধ, চুরি-ছিনতাই ঠেকাতে সজাগ আছে থানা পুলিশ।
খুলনা গেজেট/এএজে