খুলনা, বাংলাদেশ | ১২ পৌষ, ১৪৩১ | ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  জাহাজে ৭ খুনে জড়িতদের বিচার দাবিতে সারাদেশে নৌযান শ্রমিকদের লাগাতার কর্মবিরতি শুরু
  মারা গেছেন ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং

তেরখাদায় অবাধে দেশী প্রজাতির মাছ শিকার

তেরখাদা প্রতিনিধি

গেল কয়েকদিনের বৃষ্টিতে তেরখাদা উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের বিভিন্ন নদী-নালা, খাল-বিল ও মাঠ-ঘাট ও আবাদী জমি বৃষ্টির পানিতে পরিপূর্ণ। এই বৃষ্টিতে মৎস্যচাষী,জেলে ও সাধারণ মানুষেরা অবাধে মাছ শিকার করছেন। এতে বেশীরভাগ পোনা আকারের দেশী মাছ ও ছোট মাছ। আর এই মাছ বিক্রি করছে উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে। অবাধে এভাবে ছোট আকারের দেশী মাছ সংগ্রহ ও বিক্রি করায় দিনদিন কমে যাচ্ছে দেশি প্রজাতির মাছের সংখ্যা।

সকালে উপজেলার তেরখাদা, নাচুনিয়া,সাচিয়াদহ বাজার এবং বিকেলে কাটেংগা,জয়সেনা, তেরখাদা,ছাগলাদাহ, মধুপুর বাজারেই স্থায়ী মাছহাটে রাস্তার দুই পার্শ্বে দেখা যায়,দেশী ও ছোট মাছের অনেক দোকান বসেছে। এই দোকানগুলোতে বিক্রি হচ্ছে ট্যাংরা, কৈ, শিং, মাগুর, বাইন, পুঁটি,ও টাকি প্রজাতির দেশী জাতের মাছ ও বিভিন্ন প্রকার ছোট আকারের মাছ। এসব মাছ ক্রয় করতে মানুষের উপচেপড়া ভিড়৷ তীব্র তাপ দাহের পর টানা বৃষ্টিতে এসব দেশী প্রজাতির মাছ বাজারে উঠায় ক্রেতাদের মধ্যে উচ্ছ্বাস। এখন বাজারে দেশী মাছের সরবরাহ বেশী থাকায় দাম অন্য সময়ের চেয়ে কম।খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার চিত্রা নদী, ভূতিয়ার বিল,বাসুয়াখালী বিল,গুড়ের বিলসহ বিভিন্ন ছোট খাল-বিল,পুকুর এবং আবাদী জমিতে বৃষ্টি শুরু হওয়ার পর থেকেই বাঁশের বেড়া, কারেন্ট জাল, চায়না দুয়ারী,পলাই দিয়ে মৎস্যচাষী,জেলে ও সাধারণ মানুষরা অবাধে দেশী মাছ ও ছোট মাছ শিকার করে হাট-বাজারে বিক্রি করছেন। তবে মৌসুমী অনেকেই নিজ এলাকাতেই মাছ সংগ্রহ করে স্থানীয় ভাবেই বিক্রি করে আর্থিক ভাবে লাভবান হচ্ছেন।

উপজেলা দলিল লেখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম ফরিদ আহমেদ বলেন,সময়ের সাথে এখন দেশী মাছের বিভিন্ন প্রজাতির মাছের সংখ্যা কমে গেছে।সেই সাথে এখন অবাধে দেশী মাছ ও ছোট জাতের মাছ ও ডিমযুক্ত মা-মাছ ধরা পড়লে ধীরে ধীরে দেশীয় মাছ বিলুপ্ত হবে । তাই দেশী প্রজাতির মাছ সংরক্ষণ ও মাছের উৎপাদন বৃদ্ধিতে সংশ্লিষ্টদের জরুরী ভিত্তিতে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো: সাইদুজ্জামান বলেন,দেশী মাছের উৎপাদন বৃদ্ধিতে মৎস্যচাষী ও জেলেদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি ও প্রদর্শনীর মাধ্যমে সহায়তা দিয়ে থাকি। তবে জনবল সংকটের কারণে অবাধে দেশী মাছ ও ছোট মাছ শিকার বন্ধ করা সম্ভব হচ্ছে না তবুও সীমিত সামর্থ্য নিয়ে আমরা নিয়মিত খোঁজ-খবর রাখছি। কারেন্ট জাল ও চায়না দুয়ারী দিয়ে অবাধে মাছ শিকারের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে। তবে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সকলকে সচেতন থাকার আহ্বান জানান এই মৎস্য কর্মকর্তা।

খুলনা গেজেট /কেডি




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!