মসজিদটি নির্মিত হয়েছে ষোড়শ শতকে। এরমধ্যে মূল স্থাপনাটি একবার স্থানান্তরিতও হয়েছে। একই সঙ্গে কালের বিবর্তনে একাধিকবার এটিকে পুনঃসংস্কার ও মেরামত করতে হয়েছে। এরপরও বয়সের ভারে বর্তমানে জীর্ণদশা বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার ঐতিহাসিক ‘জোবা’ মসজিদটির। তাই এটি পুননির্মাণে এগিয়ে এসেছে তুরস্ক।
বসনিয়ার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর ট্রেবিঞ্জে অবস্থিত সবুজ পাহাড়ঘেরা এ মসজিদের পুনঃনির্মাণের দায়িত্ব নিয়েছে ‘ইউনিয়ন অব তার্কিশ ওয়ার্ল্ড মিউনিসিপালিটিস’ নামের সরকারি একটি প্রতিষ্ঠান। ট্রেবিঞ্জের কাউন্সিল অব দ্যা ইসলামিক ইউনিয়নের আবেদন প্রেক্ষিতে এবং কোনিয়ার কারাতাই পৌরসভার সহযোগিতায় প্রতিষ্ঠানটি খুব শিগগিরই মসজিদ ভবনটির সংস্কারে হাত দেবে।
এ সম্পর্কে ট্রেবিঞ্জের কাউন্সিল অব দ্যা ইসলামিক ইউনিয়নয়ের উপদেষ্টা সাদিক ভাসলাজিক বলেন, এটিকে শহরের সবচেয়ে প্রাচীন মসজিদ বিবেচনা করা হয়। এটি তৈরি হয় উসমানীয় সুলতান প্রথম আহমাদের শাসনামলে। একাধিকবার জোবা মসজিদটি গুড়িয়ে দেয়া হয় এবং এরপর প্রতিবার-ই পুনঃনির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করে কাউন্সিল অব দ্যা ইসলামিক ইউনিয়ন।
সাদিক ভাসলাজিক জানান, উনিশ শতকের মাঝামাঝিতে মসজিদটির মূল অবস্থানস্থল দিয়ে রেলপথ তৈরি করা হয়-এ জন্য সেটিকে সরিয়ে বর্তমান জায়গায় স্থানান্তর করা হয়েছে। ১৯৯৩ সালে বসনিয়ার সার্ব বাহিনীর হামলায় এটি আগুনে ভষ্ম হয় এবং দীর্ঘ সময় এখানে ইবাদত-বন্দেগি বন্ধ থাকে। অবশেষে ২০১০ সালে ফের মেরামত করা হয় এটি। তারপর থেকে এখানে আজও নিয়মিত আজান ও নামাজ চালু আছে, তবে দেওয়ালের গাথুনি দুর্বল হয়ে যাওয়া, ছাদ দিয়ে বৃষ্টির পানি পড়া এবং মুসল্লিদের স্থান সংকুলান না হওয়ায় মসজিদটি পুনঃনির্মাণে এগিয়ে এসেছে তুরস্ক। সূত্র : আনাদুলু এজেন্সি-তুরস্কের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম।
খুলনা গেজেট/কেএম