বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম-তুমব্রু সীমান্তের মিয়ানমারে অভ্যন্তরে সামরিক জান্তা বাহিনীর সঙ্গে স্বাধীনতাকামী সংগঠন আরকান আর্মির তুমুল লড়াই চলছে।
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) তুম্রু সীমান্তে মিয়ানমারের ছোড়া গুলিতে আরও এক বাংলাদেশি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তিনি পেশায় কৃষক বলে জানা গেছে। তাকে দ্রুত উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
মিয়ানমারে চলমান সংঘর্ষের জেরে এখন পর্যন্ত দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিপি), মিয়ানমার সেনাবাহিনী, ইমিগ্রেশন সদস্য, পুলিশ ও অন্যান্য সংস্থার ২৬৪ জন সদস্য বাংলাদেশে প্রবেশ করেছেন। এদের মধ্যে মঙ্গলবার দুপুরে ৩৫ জন প্রবেশ করেন।
আজ বিকালে বিজিবি সদরদপ্তর থেকে পাঠানো বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।
বিজিবি জানিয়েছে, আজ দুপুর পর্যন্ত মিয়ানমারের বিজিপি, সেনাসহ অন্যান্য বাহিনীর ২৬৪ জন মিয়ানমার থেকে এসেছেন। তাদের মধ্যে ৩৫ জন আজ দুপুরে পালিয়ে এসেছেন। তাদের আশ্রয়ে দিয়ে খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এরমধ্যে ১৫ জন আহত ছিলেন। তাদের মধ্যে ৮ জন গুরুতর আহত ছিলেন। ৪ জনকে কক্সবাজার ও ৪ জনকে চট্রগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের বিজিবির পক্ষ থেকে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
এদিকে লাগাতার গোলাগুলি, মর্টারশেল নিক্ষেপ ও রকেট লঞ্চার বিস্ফোরণের বিকট শব্দে কেঁপে উঠছে সীমান্তবর্তী নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম-তুমব্রুর বিস্তীর্ণ এলাকা। গুলির অংশ ও রকেট লঞ্চারের ভগ্নাংশ উড়ে এসে পড়েছে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঘুমধুম-তুমব্রু এলাকায় বসতঘরের ওপর।
এ ঘটনায় কেউ নিহত না হলেও আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন স্থানীয়রা। অনেকেই আতঙ্ক, উৎকণ্ঠায় ঘরে বসে নির্ঘুম রাত কাটিয়েছেন। ভয়ে ছেলে-মেয়েদের স্কুলে পাঠাতেও পারছেন না অভিভাবকরা।
ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের নারী সদস্য ফাতেমা বেগম বলেন, সীমান্তে ব্যাপক গোলাগুলির শব্দ হচ্ছে। স্থানীয়রা ভয়ে বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন। অনেক পরিবার সারা রাত না ঘুমিয়ে বসে ছিল।
খুলনা গেজেট/ টিএ