যশোরের শার্শা ও বেনাপোলে গত তিন দিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম প্রতি কেজিতে বেড়ে গেছে ২০ থেকে ৩০ টাকা। সরবরাহ কম এবং আমদানি স্বল্পতার কারনে পেঁয়াজের দাম বেড়ে গেছে বলে জানান ব্যবসার সাথে সংশ্লিষ্টরা।
দাম বাড়ায় নাভিশ্বাস বাড়ছে স্বল্প ও নিন্ম আয়ের মানুষের। দাম সহনশীল রাখার দাবি জানান ক্রেতারা। সংসারে প্রতিদিন রান্নার কাজে পেঁয়াজের ব্যবহার করতে হয়। এ কারনে বেশীদামেই পেঁয়াজ কিনতে বাধ্য হন তারা।
বেনাপোল, শার্শা, নাভারন ও বাগআঁচড়াসহ স্থানীয় বাজারগুলোতে গত ৩ দিন আগে পেঁয়াজের দাম ছিল কিছুটা কম। প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১১০ থেকে ১২০ টাকা আর ভারতীয় পেঁয়াজ ৮০ থেকে ৯০ টাকা। গত ৩ দিনের ব্যবধানে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা কেজি ও ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১২০ টাকা কেজিতে। তবে ব্যবসায়ীদের দাবি ভারত থেকে বেনাপোল দিয়ে পেঁয়াজ না আসা ও সাতক্ষীরার ভোমরায় সিএন্ডএফ এজেন্ট নির্বাচন থাকায় আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকায় ভারতীয় পেঁয়াজ আসা বন্ধ থাকায় বেড়েছে দাম।
পেঁয়াজ বিক্রেতা আতাউর রহমান ও রাকিব হোসেন জানান, মোকামে বাড়ছে দাম। ফলে স্থানীয় বাজারে এর প্রভাব পড়ছে। বাজারে সবার কাছে পেঁয়াজ নেই। আড়তদারদের কোন কারসাজি আছে কি না বলতে পারছি না। হঠাৎ করে পেঁয়াজ সরবরাহ কমে গেছে। এর ফলে দামও বেড়ে গেছে। নতুন মুড়িকাটা পেঁয়াজ বাজারে এলে দাম কমে আসবে বলে জানান ব্যাবসায়ীরা।
বেনাপোল স্থলবন্দর পরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবীর তরফদার বলেন, বেনাপোল বন্দর দিয়ে অনেকদিন যাবত ভারত থেকে কোন পেঁয়াজের চালান আমদানি হচ্ছে না। এ পথে গাড়ি ভাড়াসহ অন্যান্য খরচ বেশি পড়ায় অন্য বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি করছে ব্যবসায়ীরা।
খুলনা গেজেট/কেডি