শোনা যাচ্ছিল চার ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা অপেক্ষা করছে সাকিব আল হাসানের জন্য। এবার সিসিডিএম এক আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছে, তিন ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা পেয়েছেন সাকিব। এখানেই শেষ নয়, শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে মোহামেডান অধিনায়ককে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানাও করা হয়েছে।
মাঠে আম্পায়ারদের সঙ্গে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করায় ঢাকা লিগে নিজেদের পরের তিন ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন সাকিব। সেই সঙ্গে ৫ লাখ টাকা আর্থিক জরিমানা করা হয়েছে তাকে। গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিস (সিসিডিএম) চেয়ারম্যান কাজী ইনাম।
তিনি জানান, গতকাল শুক্রবার মিরপুরের শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে আবাহনীর বিপক্ষে মোহামেডান অধিনায়ক সাকিব আল হাসান লেভেল ৩ পর্যায়ের অসদাচরণ করেছেন, তাও দু’বার। তাই তার ওপর নেমে এসেছে এ শাস্তি। নিয়মানুযায়ী এ পর্যায়ের অসদাচরণ একবার করলে শাস্তির বিধান আছে। সেটা হতে পারে এক ম্যাচ থেকে দুই ম্যাচ, জরিমানা হবে কমপক্ষে ২৫ হাজার টাকা। কিন্তু একই ম্যাচে দ্বিতীয়বার করা হলে শাস্তির পরিমাণ দাঁড়াবে দুই থেকে ৫ ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা আর কমপক্ষে ২৫ হাজার টাকা। এক্ষেত্রে সাকিব পেয়েছেন সবচেয়ে কম শাস্তিটাই। প্রথম অসদাচরণের জন্য পেয়েছেন এক আর দ্বিতীয়টার জন্যে দুই, সর্বমোট তিন ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে তাকে। যদিও প্রথমে গণমাধ্যমে মোহামেডান কর্মকর্তা জানিয়েছিলেন শাস্তির মাত্রাটা চার ম্যাচের। কিন্তু আনুষ্ঠানিক ঘোষণায় জানা গেল শাস্তির মাত্রাটা এক ম্যাচ কম।
ঘটনার সূত্রপাত গত শুক্রবার বিকেলে আবাহনীর বিপক্ষে সাকিবের দল মোহামেডান ম্যাচে। আবাহনী ইনিংসের পঞ্চম ওভারে মুশফিকুর রহিমের বিরুদ্ধে তার এলবিডব্লিউর আবেদনটি নাকচ করলে রেগে গিয়ে স্টাম্প ভাঙেন সাকিব, এরপরের ওভারে বৃষ্টির জন্য আম্পায়ার খেলা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিলে সাকিব এসে স্টাম্প তুলে আছাড় মারেন। এরপর সাজঘরে ফেরার সময় তিনি তেড়ে যান খালেদ মাহমুদ সুজনের দিকে। এমন সব অসদাচরণের জন্যই শাস্তির মুখে পড়েছেন তিনি।
তবে সাকিব নিজের অপরাধ স্বীকার করে এ শাস্তি মেনে নিয়েছেন। ফলে এর কোনো শুনানির প্রয়োজন নেই। এ শাস্তিই বহাল থাকবে সাকিবের ওপর।
খুলনা গেজেট/ এস আই