আফগানিস্তানের ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী তালেবানের ভেতরে অন্তর্দ্বন্দ্বের খবর প্রকাশ হয়েছে। খবর রেবরিয়েছিল যে, দলেরই অন্য এক প্রতিপক্ষের হাতে আহত হয়েছিলেন তালেবানের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও অন্যতম শীর্ষ নেতা মোল্লা আবদুল গনি বারাদার। তবে সেসব খবর উড়িয়ে দিয়ে একটি ভিডিও সাক্ষাৎকারে তিনি ভালো ও সুস্থ আছেন বলে জানিয়েছেন।
আফগানিস্তানের নতুন অন্তর্বর্তী সরকারে উপ-প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়া বারাদার আহত হওয়ার কথাও অস্বীকার করেছেন। বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) এই ভিডিও সাক্ষাৎকারটি প্রচার করা হয় বলে বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
কাতারের রাজধানী দোহায় অবস্থিত তালেবানের রাজনৈতিক কার্যালয়ের পক্ষ থেকে টুইটারে প্রকাশ করা একটি ভিডিও সাক্ষাৎকারে বারাদার বলেন, ‘না, এটি (দলীয় কোন্দলে আহত হওয়ার খবর) সত্য নয়। আমি ভালো আছি, সুস্থ আছি।’
তিনি বলেন, ‘সংবাদমাধ্যমগুলো তালেবানের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কথা প্রচার করছে। কিন্তু আমাদের মধ্যে এমন কিছুই হয়নি। এটি সত্য নয়।’
আফগানিস্তানের রাষ্ট্রীয় টিভি চ্যানেল আরটিএ’কে তিনি এই সাক্ষাৎকার দেন। ভিডিওতে তাকে একটি সোফায় বসে থাকতে দেখা যায়। সেখানে তিনি বলেন, (তালেবানের ঐক্য নিয়ে) চিন্তার কিছুই নেই।
এর আগে বুধবার এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানায়, কাবুলে তালেবান নেতাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে। দেশটির নতুন সরকার গঠন নিয়ে দ্বন্দ্বের পর তর্ক-বিতর্কে জড়িয়েছেন তারা। এর জের ধরে কাবুল ছেড়ে চলে গেছেন তালেবানের অন্যতম শীর্ষ নেতা ও সহ-প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা আব্দুল গনি বারাদার।
তালেবানের জ্যেষ্ঠ নেতাদের বরাত দিয়ে বিবিসি জানায়, দেশটির অন্তর্বর্তী সরকার গঠন নিয়ে কাবুলের প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে মোল্লা আব্দুল গনি বারাদার এবং নতুন সরকারে স্থান পাওয়া এক মন্ত্রীর মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। বাগবিতণ্ডার পর রাদার কাবুল ছেড়ে কান্দাহারে চলে গেছেন বলেও প্রতিবেদনে জানানো হয়।
গত ১৫ আগস্ট কাবুল দখলের মাধ্যমে আফগানিস্তানের শাসন ক্ষমতা দখলে নেয় তালেবান। এরপরই আফগানিস্তানকে ইসলামিক আমিরাত হিসেবে ঘোষণা করে গোষ্ঠীটি। গত সপ্তাহে আফগানিস্তানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ঘোষণা করে তালেবান।
দেশটির নতুন এই সরকারের নেতৃত্বে রয়েছেন মোল্লা মোহাম্মদ হাসান আখুন্দ। অন্যদিকে উপ-প্রধানমন্ত্রী পদে রয়েছেন মোল্লা আবদুল গনি বারাদার। যদিও কাবুল দখলের পর থেকেই শোনা যাচ্ছিল যে, বারাদারই আফগানিস্তানের নতুন সরকার প্রধান হতে যাচ্ছেন।
বিবিসি জানিয়েছিল, তালেবানের অন্যতম শীর্ষ নেতা ও সহ-প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা আব্দুল গনি বারাদারকে সম্প্রতি প্রকাশ্যে দেখা না যাওয়ার পর থেকেই আফগানিস্তানে নতুন সরকার গঠন নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছে বলে খবর বের হয়েছে। তবে তালেবান আনুষ্ঠানিকভাবে এসব খবর প্রত্যাখ্যান করেছে।