রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকার মিনি কক্সবাজার সড়কের পাশে লন্ডন এক্সপ্রেস নামের একটি পরিবহন কোম্পানির গ্যারেজে ১৪টি বাস পুড়ে গেছে। দূরপাল্লার বিলাসবহুল বাসগুলো ভলভো ব্যান্ডের। এর মধ্যে কয়েকটি বাস একেবারেই পুড়ে গেছে।
সোমবার (১ এপ্রিল) রাতে লাগা এই আগুনকে রহস্যময় বলছে পুলিশ। ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ কর্মকর্তাদের বক্তব্য, ঘটনার সময় গ্যারেজটি অন্ধকার ও তালাবদ্ধ ছিল। সেখানে কোনো মানুষ ছিলেন না। এ ঘটনায় যাত্রাবাড়ী থানা-পুলিশ গ্যারেজের নিরাপত্তা প্রহরী নাজমুলকে হেফাজতে নিয়েছে।
ছয় বছর আগে জার্মান ব্র্যান্ড ‘ম্যান’–এর বিলাসবহুল বাস দিয়ে ঢাকা–সিলেট রুটে যাত্রা করে লন্ডন এক্সপ্রেস। বর্তমানে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার রুটেও সেবা দিয়ে আসছে পরিবহনটি।
ফায়ার সার্ভিস সূত্র বলছে, রাত ৮ টা ৪৮ মিনিটে এ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত। খবর পেয়ে ডেমরা ফায়ার সার্ভিসসহ অন্যান্য ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। প্রায় এক ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এ সময় র্যাবের সদস্যরাও ঘটনাস্থলে গিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করেন। সড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
ফায়ার সার্ভিসের ঢাকা জোন–৫–এর প্রধান এ কে এম শামসুজ্জোহা বলেন, ‘কোনাপাড়া–বাইকদিয়া সড়কের পাশে গ্যারেজটি একটি অন্ধকার স্থানে তালাবদ্ধ অবস্থায় ছিল। বাইরে থেকে গেটের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে ফায়ার সার্ভিস। এখানে অগ্নিনির্বাপণের কোনো ব্যবস্থা ছিল না। পরে দ্রুত চারদিকে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। তবে আগুন লাগার লাগার কারণ জানা যায়নি।’
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, লন্ডন এক্সপ্রেসের বাসগুলো ঢাকা–সিলেট ও ঢাকা চট্টগ্রাম রুটে চলাচল করে। সড়কের পাশে গ্যারেজ তৈরি করে সেখানে নিয়মিত বাস রাখা হতো। গ্যারেজের ভেতর মোট ১৪টি গাড়ি ছিল। গ্যারেজের মূল গেট তালাবদ্ধ ছিল। আগুনে গ্যারেজের সবগুলো গাড়িই পুড়ে গেছে। দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকা গাড়িগুলো মুহূর্তের মধ্যে পুড়ে ভস্ম হয়ে যায়। কিছু গাড়ি পুড়ে শুধু কাঠামো দাঁড়িয়ে আছে।
ডেমরা ধার্মিকপাড়া এলাকার আব্দুল মালেক বলেন, ‘তারাবির নামাজের পর হঠাৎ দেখা যায় দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতেছে মিনি কক্সবাজার থেকে। এ সময় পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের টিম ঘটনাস্থলে দ্রুত এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে।’
ডেমরা থানার পরিদর্শক (অপারেশনস) সুব্রত কুমার পোদ্দার বলেন, নিরিবিলি পরিবেশ কোনো রকম গেট লাগিয়ে গ্যারেজ তৈরি করা হয়েছে। এটি প্রশাসন জানত না। আগুনের ঘটনা নাশকতা কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
খুলনা গেজেট/এইচ