খুলনার দৌলতপুরের আলোচিত সাবেক যুবদল নেতা মাহবুবুর রহমান মোল্লা হত্যা মামলার সন্দিগ্ধ আসামি কাজী রায়হান ইসলাম এবং হাসিব মোল্লাকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) সকালে খুলনার দৌলতপুর থানা পুলিশ এবং মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের দু’টি টিম তাদের পাশ^বর্তী জেলা সাতক্ষীরার তালা উপজেলা থেকে আটক করে।
এর আগে পুলিশ হত্যাকান্ডে তথ্য সরবরাহের অভিযোগে মো: সজল এবং আলাউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে। সজলকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে কোন কিছু না পেয়ে পরবর্তীতে কারাগারে প্রেরণ করে। বর্তমানে সজল এবং আলাউদ্দিন মাহবুব হত্যা মামলায় কারগারে রয়েছে।
কাজী রায়হান ইসলামকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে দৌলতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মীর আতাহার আলী বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে রায়হানকে তালা উপজেলার মহিলা কলেজের পাশে একটি ভাড়া বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। সিসি ফুটেজ থেকে সংগ্রহ করা যুবকের সাথে আটক হওয়া যুবকের মুখাবয়বের মিল আছে কি না প্রশ্ন করলে তিনি জানান, আমরা যে রায়হানকে আটক করেছি সে ওই ব্যক্তি কি না তা জিজ্ঞাসাবাদে জানা যাবে। মাহবুব হত্যাকান্ডের পর থেকে রায়হান এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। তার অবস্থান নিশ্চিত হওয়ার জন্য উন্নত প্রযুক্তির সাহায্যে নেওয়া হয়। তার অবস্থান নিশ্চিত হয়ে সকালে তালা মহিলা কলেজের পাশে একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। পরে তাকে নিয়ে পাইকগাছা উপজেলায় অভিযান চালানো হয়। তাকে নিয়ে পুলিশের একটি টিম খুলনার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছে।
অপরদিকে এ মামলার অপর সন্দিগ্ধ আসামি আসিফ মোল্লাকে খুলনা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি টিম সাতক্ষীরার তালা থেকে আটক করে। মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উর্ধতন একজন কর্মকর্তা বলেন, সিসি ফুটেজে সংগ্রহকৃত ছবির সাথে আসিফ মোল্লার চেহারার যথেষ্ট মিল আছে। তবে তিনি সেই যুবক কি না তা তিনি নিশ্চিত করে বলতে পারেননি। তাকে ডিবি কার্যালয়ে রেখে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য ১১ জুলাই দুপুরে নিজ বাড়ির সামনে প্রাইভেটকার পরিস্কার করছিলেন যুবদলের সাবেক সহসভাপাত মাহবুব মোল্লা। প্রতিবেশীকে সাহয্যে করার কথা বললে তিনি ওই কাজে অংশ নেয়। এ সময়ে একটি মোটরসাইকেলযোগে তিনজন যুবক এসে মাহবুব মোল্লাকে লক্ষ্য করে পরপর কয়েকটি গুলি ছুড়তে থাকে। তাদের ছোড়া গুলির দু’টি একটি মাথায় এবং একটি মুখে বিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে মাহবুব মোল্লা মাটিতে লুটিয়ে পড়ে মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য তার দু’পায়ের রগ কেটে দেয় সন্ত্রাসীরা। পরে তারা তেলিগাতি সীমান্ত পর হয়ে হাইওয়ে রাস্তায় সাধারণ মানষেুর সাথে মিশে যায়। পরেরদিন নিহতের পিতা বাদী হয়ে অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন। এরপর পুলিশ হত্যাকান্ডে তথ্য সরবরাহের কাজে সাহায্যে করার অভিযোগে দু’জনকে গ্রেপ্তার করে।
খুলনা গেজেট/এসএস