শহর এলাকায় দিনের তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও সহসা শীত বিদায় নিচ্ছে না। উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ বিহার ও আশপাশের এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এর বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত থাকায় এমন অবস্থা বিরাজ করছে। তবে এ মাসের একেবারে শেষ দিকে বা ফেব্রুয়ারির শুরুতে দেশের কয়েকটি এলাকায় তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নামতে পারে। ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে বাড়তে পারে তাপমাত্রা। পূর্বাভাস আবহাওয়া অধিদপ্তরের।
আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক গণমাধ্যমকে বলেন, বর্তমানে দিনের তাপমাত্রা ৩১ ডিগ্রি থেকে ২২ ডিগ্রির মধ্যে ওঠানামা করছে। আর রাতের তাপমাত্রা ১০ থেকে ১৮ ডিগ্রির মধ্যে। এতে তাপমাত্রা খুব বেশি একটা বাড়েনি। শহরের শীতের অনুভূতি কমলেও গ্রামে এখনও শীতের অনুভূতি বেশি।
তিনি জানান, এই মাসের একেবারে শেষ দিকে কোনও কোনও এলাকায় ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নামতে পারে। শ্রীমঙ্গল, পঞ্চগড় ও তেঁতুলিয়ায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। ব্যাপকভাবে তাপমাত্রা কমে গিয়ে আগের মতো তীব্র শীতের অনুভূতি আর আসবে না। ১৫ ফেব্রুয়ারির পর থেকে তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করবে।
আগামী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। কুয়াশার বিষয়ে বলা হয়, শেষরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। তাপমাত্রার বিষয়ে বলা হয়, সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
এদিকে দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে বলা হয়, ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথমার্ধে দেশে একটি মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। একইসঙ্গে এই মাসে দিনের তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পেতে শুরু করবে। ফেব্রুয়ারি মাসে সামগ্রিকভাবে দেশে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে। এ মাসের শেষার্ধে দেশের কোথাও কোথাও এক থেকে দুই দিন শিলাবৃষ্টিসহ বজ্রঝড় হতে পারে। একইসঙ্গে এ মাসের প্রথমার্ধে দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে এবং নদ-নদী অববাহিকায় মাঝারি বা ঘন কুয়াশা এবং অন্যত্র হালকা বা মাঝারি কুয়াশা পড়তে পারে।
গত ২৪ ঘণ্টায় (২৬ জানুয়ারি) দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল তেঁতুলিয়ায় ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া বিভাগীয় শহরগুলোর মধ্যে ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ৬, রাজশাহীতে ১৫ দশমিক ২, রংপুরে ১৩ দশমিক ৩, ময়মনসিংহে ১৪ দশমিক ৭, সিলেটে ১৫ দশমিক ৫, চট্টগ্রামে ১৭ দশমিক ৪, খুলনায় ১৮ এবং বরিশালে ১৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
খুলনা গেজেট/কেডি