বাংলাদেশে নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত আখিম ট্র্যোস্টার বলেছেন ‘তরুণরাই দেশের ভবিষ্যৎ। তারা এই সমাজের আত্মা। সকল কার্যক্রমে তাদের সম্পৃক্ততা ছাড়া অগ্রগতির সুযোগ নেই। নারী ও তরুণদের ইতিবাচক অংশগ্রহন সমাজের উগ্রোবাদ রুখে দিতে পারে।
বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) বিকেলে জার্মান সরকারের অর্থায়নে পরিচালিত বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা দি হাঙ্গার প্রজেক্টের ব্রেভ প্রকল্পের আয়োজনে বাগেরহাটের তরুণদের সাথে একটি অভিজ্ঞাতা বিনিময় সভা শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, এখানে তরুণদের অংশগ্রহণ খুবই আকর্ষণীয় ছিল। আমি ভেবেছিলাম আমার মতো বয়স্করাই এখানে বেশি থাকবেন। তবে তরুণদের অংশগ্রহণ এবং তাদের সম্পৃক্ততা দেখে আমি অভিভূত হয়েছি। তাদের গতিশীলতা এবং সক্রিয়তা আমাকে মুগ্ধ করেছে। এটা খুবই অসাধারণ একটা অভিজ্ঞতা।
বাগেরহাট জেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা তিনশতাধিক তরুণ অংশ নেন। সভায় উপস্থিত তরুণদের কথা শোনার পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয়ে তাদের চ্যালেঞ্জ, আগামী দিনের কর্মপরিকল্পনা নিয়েও আলোচনা করেন রাষ্ট্রদূত। এসময়, রাষ্ট্রদূতের সহধর্মীণি বেটিনা ট্রোষ্টার ও দি হাংগার প্রজেক্টের কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. বদিউল আলম মজুমদার সাথে ছিলেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১ টায় বাগেরহাটের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে ব্রেভ প্রকল্পের অভিজ্ঞতা বিনিময় সভায় অংশগ্রহণ করেন তারা। জেলা প্রশাসক মো. আজিজুর রহমানের সভাপতিত্বে ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জার্মান রাষ্ট্রদূত আখিম ট্র্যোস্টার বলেন, আমার দেশে ৮০ বছর আগে ধর্মীয় উগ্রবাদের কারনে ধ্বংসের দ্বার প্রান্তে গিয়েছিলো। বাংলাদেশ যেনো এমন না হয়। আমি এ প্রকল্পের সাথে সংইশ্লিষ্ট সকলের কথা শুনে অভিভূত। তারা, বিশেষ করে তরুণ-তরুণীরা এখানে দারুণ উদ্যোমী কাজ করছে। জার্মান সরকার এমন একটা প্রকল্পের সাথে থাকতে পেরে গর্বিত।
ব্রেভ মূলত ‘উগ্রবাদ-জঙ্গীবাদ সহিষ্ণু এলাকা’ সৃষ্টির একটি উদ্যোগ। ২০২০ সাল থেকে দি হাঙ্গার প্রজেক্ট প্রশিক্ষিত তরুণ স্বেচ্ছাসেবকদের নিয়ে বাগেরহাট জেলার তিনটি উপজেলার ২৬ টি ইউনিয়নে এই কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। জার্মান সরকারের সহযোগীতায় বাস্তবায়িত হচ্ছে এই প্রকল্পটি। যার কার্যক্রম ও অভিজ্ঞতা বিনিময় সভায় উপস্তিত হতে বৃহস্পতিবার সকালে রাষ্ট্রদূত বাগেরহাটে আসেন।
খুলনা গেজেট/এএ