তরী বীজে মোংলার জয়খাঁ গ্রামে তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে। ইতিমধ্যে ৭/৮ কেজি ওজন হয়েছে। আশা করছি ১০/১২ কেজি ওজন হবে। ২৯ হেক্টর জমিতে ১২২জন কৃষক তরমুজ চাষ করেছে। ১ বিঘা তরমুজের ক্ষেত ২ লাখ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। তরী বীজ লাগানো এবং কৃষি অফিসের সাজেশনে তরমুজ চাষে বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। ২ এপ্রিল রবিবার সকালে মোংলার জয়খাঁ গ্রামে উপজেলা কৃষি অফিস ও তরী সীডস কোম্পানির আয়োজনে তরমুজ চাষিদের মাঠ দিবসে বক্তারা একথা বলেন।
রবিবার সকাল ১১টায় অনুষ্ঠিত মাঠ দিবসে সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় ইউপি সদস্য মন্মথ বৈরাগী। মাঠ দিবসে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখনে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) পরমা রানী সাহা। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো: নূর আলম শেখ ও সুব্রত বৈরাগী।
অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন তরী সীডস কোম্পানির ম্যানেজার তানভীর আহমেদ, উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা মো: সেলিম আহমেদ, কৃষক নেতা শেখ শাহনেওয়াজ, তরমুজ চাষি সুজিত মন্ডল, অশোক ঢালী, সিদ্ধার্থ শংকর প্রমূখ।
মাঠ দিবসে কৃষি কর্মকর্তা পরমা রানী সাহা বলেন কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে তরমুজ চাষিদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেয়ায় এবং উন্নত তরী বীজ লাগিয়ে চাষিরা বাম্পার ফলন পেয়েছে।
তরমুজ চাষি সুজিত মন্ডল বলেন প্রথমবারের মতো তরী বীজ লাগিয়ে বাম্পার ফলন পেয়েছি। তরমুজ ৭/৮ কেজি হয়েছে। আশা করছি বাকী সময়ের মধ্যেই ১০/১২ কেজি হবে। তরমুজ চাষি
অশোক ঢালী বলেন তরী বীজ খুবই উন্নত মানের বীজ। তরী বীজে এবার জয়খাঁ গ্রামে তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে।
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো: সেলিম আহমেদ বলেন জযখাঁ গ্রামে তরমুজের বাম্পার ফলনে এবার এক বিঘার ক্ষেত ২ লাখ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।
তরী সীডস কোম্পানির ম্যানেজার তানভীর আহমেদ বলেন মোংলার জয়খাঁ গ্রামে তরমুজ চাষিরা কাংখিত বীজের সংকটে ভুগছিলেন। আমরা তরী বীজ চাষিদের সরবরাহ করে প্রমাণ করেছি উন্নত বীজের কোন সংকট নেই। মাঠ দিবসের আলোচনা সভা শেষে তরমুজ চাষিদের অংশগ্রহণে র্যালি বের হয়।
খুলনা গেজেট/ এসজেড