প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নাগরিক সুবিধা প্রসারের লক্ষ্যে বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন চালু করা হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন বাস্তবতা।
২০৪১ সালের আগেই বাংলাদেশ উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হবে-এ লক্ষ্য নিয়েই সরকার কাজ করে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলব।’
মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) ‘আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো এবারও বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস পালিত হচ্ছে। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘তথ্য আমার অধিকার, জানা আছে কি সবার’ সময়োপযোগী হয়েছে বলে প্রধানমন্ত্রী মনে করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশকে ক্ষুধা-দারিদ্র্য, শোষণ-বঞ্চনা ও দুর্নীতিমুক্ত সোনার বাংলা গড়ার। জনগণের ক্ষমতায়নের জন্য তথ্য অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আওয়ামী লীগ সরকার নবম জাতীয় সংসদে তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯ পাস করে এবং এটি বাস্তবায়নে তথ্য কমিশন গঠন করে। কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে জনগণ এ আইনের ফলে তথ্য প্রাপ্তির ক্ষমতার অধিকারী হন। এই আইন জনগণের ক্ষমতায়নের পথকে অবারিত করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তথ্যের অবাধ প্রবাহকে বিস্তৃত করতে আমরা ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে বাংলাদেশ টেলিভিশনের পাশাপাশি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল চালুর অনুমোদন দেই। এ পর্যন্ত ৪৫টি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল, ২৮টি এফএম বেতার কেন্দ্র এবং ৩২টি কমিউনিটি রেডিও সম্প্রচারের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১’ সফলভাবে উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশে টেলিভিশনসহ বেসরকারি টিভি চ্যানেল এই স্যাটেলাইটের মাধ্যমে তাদের সম্প্রচার কার্যক্রম পরিচালনা করছে। ফলে তথ্য প্রকাশ ও প্রচার ব্যবস্থা সুলভ এবং সহজতর হয়েছে। সংসদ টেলিভিশন চালুর মাধ্যমে সংসদ অধিবেশনের তথ্য গণমানুষের কাছে সরাসরি পৌঁছানো হচ্ছে।’
করোনাভাইরাসের সংক্রমণে বাংলাদেশসহ বিশ্ব এখন বহুমাত্রিক সংকটে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সবাইকে যথাযথ দায়িত্বপালনে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি ‘আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস ২০২১’ এর সার্বিক সফলতা কামনা করেন। সূত্র : বাসস।
খুলনা গেজেট/ টি আই