‘মুসলিমদের আসসালামু আলাইকুম এবং আল্লাহ হাফেজ বলার মাধ্যমে জঙ্গিবাদ বিস্তার ঘটাচ্ছে’ এমন বিতর্কিত বক্তব্যের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অপরাধতত্ত্ব বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান অধ্যাপক জিয়া রহমানের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা দুটি মামলা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আগামী ১ নভেম্বরের মধ্যে ঢাকা মহানগর পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিটকে এ বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রোববার বিকেলে বাংলাদেশ সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালের বিচারক আসসামছ জগলুল হোসেন এ আদেশ দেন।
আজ সকালে বাংলাদেশ সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালে প্রথম মামলাটি করেন মাসিক আল বাইয়্যিনাত ও দৈনিক আল ইহসানের সম্পাদক মুহম্মদ মাহবুব আলম। পরে ইমরুল হাসান নামের এক আইনজীবী আরো একটি মামলা দায়ের করেন।
প্রথম মামলার আইনজীবী মুহাম্মদ হুজ্জাতুল ইসলাম খান আলফেসানী এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, সকালে মামলার শুনানি শেষে বিকেলে আদালত জিয়া রহমানের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা দুটি মামলা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
আইনজীবী বলেন, ‘শুনানিতে আমরা বলেছি; সালাম দেওয়া মুসলিম সমাজের একটি রীতি। এটিকে ব্যাঙ্গাত্বক করে মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানা হয়েছে।’
মামলার আরজিতে বলা হয়েছে, ‘আসসালামু আলাইকুম’ বলা ও ‘আল্লাহ হাফেজ’ বলাকে গর্হিত, নিন্দনীয়, জঘন্য ব্যাখ্যা করেন অধ্যাপক জিয়া রহমান। এসবকে জঙ্গিবাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত করেন তিনি। এর আগে গত বৃহস্পতিবার ড. জিয়া রহমানকে বক্তব্য প্রত্যাহার করে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়ে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছিলেন মুহম্মদ মাহবুব আলমের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মুহম্মদ শেখ ওমর শরীফ।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি ‘ডিবিসি নিউজ’ টেলিভিশন চ্যানেলের ‘উপসংহার’ নামক টক শোতে ‘ধর্মের অপব্যাখ্যায় জঙ্গিবাদ’ বিষয়ক আলোচনায় মুসলিমদের শুদ্ধ উচ্চারণে ‘আসসালামু আলাইকুম’ বলা ও ‘আল্লাহ হাফেজ’ বলাকে গর্হিত, নিন্দনীয়, জঘন্য বলে ব্যাখ্যা করেন অধ্যাপক জিয়া রহমান।
খুলনা গেজেট/এনএম