বৃহস্পতিবার রাজধানীতে বাস পোড়ানোর মামলার আসামী করা হয়েছে খুলনা মহানগর যুবদলের তিন নেতাকে। তারা একই সাথে দলের কেন্দ্রীয় কমিটিতে গুরুত্বপূর্ণ পদেও রয়েছেন। তবে যুবদলের এই নেতারা বলছেন, ঘটনার দিন তারা খুলনা ও যশোরে দলের কর্মীসভা এবং মায়ের চিকিৎসার কাজে ব্যস্ত ছিলেন।
সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাজধানীর পল্টন, মতিঝিল, ভাটারাসহ বিভিন্ন থানায় বাস পোড়ানোর অভিযোগে পুলিশের পক্ষ থেকে মোট ১৩ টি মামলা করা হয়। পল্টন থানার মামলায় যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ও খুলনা মহানগর যুবদলের সভাপতি মাহবুব হাসান পিয়ারু, ভাটারা থানার মামলায় কেন্দ্রীয় যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন এবং মতিঝিল থানার মামলায় কেন্দ্রীয় যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ও খুলনা জেলা যুবদলের সভাপতি শামীম কবিরকে আসামী করা হয়েছে বলে দাবি সংশ্লিষ্ট নেতাদের।
এসব মামলাকে ভিত্তিহীন উল্লেখ করে যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ও খুলনা মহানগর যুবদলের সভাপতি মাহবুব হাসান পিয়ারু খুলনা গেজেটকে বলেন, “গত বৃহস্পতিবার রাজধানীতে যে সময় বাসে আগুন দেয়া হয় তখন আমি ও খুলনা জেলা যুবদলের সভাপতি শামীম কবীর যশোরের বিভিন্ন উপজেলায় কর্মীসভায় অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলাম, যা পরেরদিন খুলনা ও যশোরের বিভিন্ন পত্রিকার নিউজে প্রমাণ রয়েছে। এছাড়া যশোরে যে হোটেলে আমরা অবস্থান করেছি সেই হোটেলের সিসিটিভি ফুটেজ ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর যাচাই করলেও বিষয়টি প্রমাণিত হবে।”
অন্যদিকে কেন্দ্রীয় যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন বলেন, “আমার মা দীর্ঘদিন ধরে শয্যাশায়ী। আমি গুরুতর অসুস্থ মাকে ফেলে খুলনার বাইরে কোথাও যেতে পারি না। আমার দলের সিনিয়র নেতারা এ বিষয়টি অবগত আছেন। অথচ সরকার রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে আমার নামে মিথ্যা মামলা দিয়েছে।”
খুলনা গেজেট/এমবিএইচ