রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় গৃহকর্মীসহ তিন জনের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে ঝুলন্ত অবস্থায় ২ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রোববার (১৮ ডিসেম্বর) পল্টন থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আনিসুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এরআগে শনিবার দিনগত রাতে এই পৃথক ঘটনাগুলো ঘটে।
মৃতরা হলেন- শান্তিনগরের সাদিয়া (১৬), মুগদার বিদ্যুৎ (১৮) ও খিলগাঁওয়ের রিনভী আক্তার (২৩)।
উপ-পরিদর্শক (এসআই) আনিসুর রহমান জানান, সাদিয়ার ফরিদপুর জেলার সাইদুল ইসলামের মেয়ে। তিনি বেশ কয়েক মাস ধরে সাদিয়া শান্তিনগরের একটি বাড়িতে গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করতো। রোববার রাতে সে বাসায় একাই ছিল।
গৃহকর্তা পরিবারসহ নারায়ণগঞ্জের একটি অনুষ্ঠানে গিয়েছিল। সেখান থেকে রাত সাড়ে ১০টার দিকে তারা বাসায় ফিরে দরজা ভেতর থেকে বন্ধ দেখতে পায়। অনেকক্ষণ ডাকাডাকি করেও কোনো শব্দ না পেয়ে বাসার সিকিউরিটি গার্ডকে সঙ্গে নিয়ে তালা চাবি মিস্ত্রী এনে রুমের দরজা খুলে। পরে রুমের ভেতর ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায় তাকে। পরে থানায় খবর দিলে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।
তিনি জানান, প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যা বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিস্তারিত তদন্তের পর ও ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলেই মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।
এদিকে ঢাকা মেডিক্যাল পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া জানান, মুগদার উত্তর মান্ডা খালপাড় এলাকায় বাড়ির নিচ তলায় দাদা দাদির সঙ্গে থাকতো বিদ্যুৎ। তিনি নবাবগঞ্জের মৃত কামাল হোসেনের ছেলে।
তার চাচা আবুল কালাম জানান, বিদ্যুৎ রাজমিস্ত্রির সহকারী হিসেবে কাজ করতো। কিছুটা মাদকাসক্ত ছিলো সে। গতরাতে খাবার খেয়ে সে রুম থেকে দ্রুত বের হয়ে যায়। এতে বিদ্যুতের ছোট চাচার সন্দেহ হলে কিছুক্ষণ পর তাকে খুঁজতে বের হন। রাত ১১টার দিকে বাড়ির ছাদে পানির পাইপের সঙ্গে দড়ি দিয়ে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় দেখতে পায় তাকে। পরে পুলিশে খবর দিলে তারা মরদেহ উদ্ধার করে।
এছাড়া খিলগাঁও তালতলায় মায়ের সঙ্গে রাগারাগি করে বৈদ্যুতিক পাখার সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়েছে রিনভী আক্তার নামে এক নারী।
জানা যায়, তার স্বামী রাসেল আমেরিকা প্রবাসী। গতরাত ১১টার দিকে সে গলায় ফাঁস দেয়। পরে পরিবারের সদস্যরা গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থা দেখেতে পেয়ে তাকে উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে মৃত ঘোষণা করেন।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর) মো. বাচ্চু মিয়া জানান, রিনভীর মরদেহ বিনা ময়নাতদন্তের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেছে থানা পুলিশ। বাকি দুই মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে।