দুই দোকানের বিরোধ রূপ নেয় ব্যবসায়ী বনাম শিক্ষার্থী সংঘর্ষে।চাঁদাবাজি বা কমদামে পণ্য কেনা নয়, বরং নিউ মার্কেটের মারামারির শুরু হয়েছিল ফাস্টফুডের দুই দোকানের কর্মচারীর বাকবিতণ্ডা থেকে।
মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, চার নাম্বার গেটের ওয়েলকাম ফাস্টফুডের কর্মচারী বাপ্পী ও ক্যাপিটালের কর্মচারী কাওসারের মধ্যে সন্ধ্যায় কথা কাটাকাটি থেকেই সংঘাতের শুরু। ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সভাপতির কথাতেও মিলেছে এর প্রমাণ।
ঢাকা কলেজের ছাত্রদের চাঁদাবাজি বা খাবারের দোকানের বিল পরিশোধ না করা নিয়ে নিউমার্কেট এলাকায় চলমান সংঘর্ষের কারণ বলা হলেও, অনুসন্ধানে জানা গেলো ভিন্ন তথ্য। সংঘর্ষের সূচনা নিউমার্কেটের দুটি খাবারের দোকানের নিজেদের কর্মচারীদের মধ্যে।
জানা গেছে, সোমবার ইফতারের আগে নিউ মার্কেটের চার নম্বর গেট দিয়ে ঢুকতেই ওয়েলকাম ও ক্যাপিটাল নামের দুটি ফাস্ট ফুডের দোকানের কর্মচারী বাপ্পী ও কাওসারের মধ্যে চেয়ার পাতা নিয়ে ঝগড়ার সূত্রপাত।
রাত এগারোটার দিকে ধারালো অস্ত্র নিয়ে বাপ্পীসহ ১০-১২ জন কাওসারকে শাসালে কাওসারের লোকজন দোকানের চাপাতি ও চাকু নিয়ে বাপ্পীর লোকজনের উপর হামলা করে। তখন পালিয়ে যায় বাপ্পীর লোকজন।
জানা গেছে, বাপ্পী তার ঢাকা কলেজের বন্ধুদের এই সংঘর্ষে ডেকে আনে।
রাত ১১টা ০৩ মিনিটে দেখা যায়, ৪ নম্বর গেট দিয়ে রামদা হাতে সাদা টি-শার্ট পরা এক তরুণের নেতৃত্বে ১০-১২ জনের একটি দল মার্কেটে ঢুকে ভাঙচুর চালানো হয়। এরপরই পুরো এলাকায় সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে।
ব্যবসায়ীদের মধ্যে গুজব ছড়ানো হয় যে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা হামলা করেছে। উত্তাল এই পরিস্থিতিতে এককভাবে কেবল ছাত্রদের দায়ী করছে না ব্যবসায়ী সমিতিও।
ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সভাপতি আমিনুল ইসলাম বলেন, দোকানের কর্মচারীদের সংঘর্ষের মধ্যে ঢাকা কলেজ থেকে কিছু লোকজন আসছিলো। তারপর তাদের মধ্যে ঝামেলা হলে তারা কলেজে গিয়ে বলেন, তারা মার্কেটে খেতে আসছিলো এসময় তাদের মারধর করা হয়েছে। সেখান থেকেই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।
দিনভর ছাত্রদের সাথে আলোচনা শেষে ঢাকা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মইনুল হোসেন জানান, আপাতত শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগ করানো সম্ভব হচ্ছে না। বুধবার ওরা হল ছাড়বে।
এদিকে সন্ধ্যার দিকে রাস্তা ছেড়ে গেলেও পরে আবার সড়কে অবস্থান নেয় শিক্ষার্থীরা।