বাগেরহাটে ইজিবাইককে ধাক্কা দেওয়া পিকআপের চালক ওসমান গনির গাড়ি চালানোর কোনো লাইসেন্স নেই। লাইসেন্স ছাড়াই তিনি পিকআপটি চালাতেন। দীর্ঘদিন চালকের সহযোগী হিসেবে কাজ করায় গাড়ি চালানো শিখে যান ওসমান। এরপর থেকে সে লাইসেন্স ছাড়াই গাড়ি চালায়।
শুক্রবার (২৩ জুলাই) সকালে খুলনা-মাওয়া মহাসড়কের উপজেলার বৈলতলী প্রাইমারি স্কুল এলাকায় একটি ইজিবাইককে সামনে থেকে ধাক্কা দেয় ওসমান গনি। এতে সাতজন নিহ হয়। ঘটনার পরই পিকআপের চালক ওসমান গনিকে (২০) আটক করে পুলিশ। জব্দ করা হয় ট্রাকটিও। দুর্ঘটনায় সময় ওসমানই পিকআপটি চালাচ্ছিলেন পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে ওসমানতা স্বীকার করেছে।
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সাইদ মোহাম্মাদ খায়রুল আনাম বলেন, দুর্ঘটনার পরেই আমরা পিকআপ চালক ওসমান গনিকে আটক করেছি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওসমান বলেছেন, গাড়ি চালানোর লাইসেন্স না থাকলেও দীর্ঘদিন ধরে তিনি গাড়ি চালান। কিছুদিন আগে ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য কাগজপত্রও জমা দিয়েছেন। কিন্তু এখনও লাইসেন্স পায়নি। দুর্ঘটনার সময় ওসমানই ট্রাকটি চালাচ্ছিলেন। এ সময় ট্রাকে থাকা তার সহকারী পালিয়ে যায়।
ওসি আরও বলেন, বৃহস্পতিবার বিকেলে সাতক্ষীরা থেকে পানের বরজের ১০ জন শ্রমিক নিয়ে মাদারীপুরের শিবচরে নামিয়ে দিতে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে তাঁদের নামিয়ে দিয়ে রাত তিনটার পর আবার ফেরার জন্য রওনা দেন। এ থেকে বোঝা যায় গতকাল বিকেল থেকে ওসমান গনি গাড়ি চালাচ্ছিলেন। দীর্ঘ সময় গাড়ি চালিয়ে ক্লান্তিতে ঘুম এসে যায়। ঘুম ঘুম চোখে গাড়ি চালানোর কারণে রং সাইডে চলে আসলে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে তারা প্রাথমিক ভাবে ধারণা করছেন।
সকালে ঘটনাস্থলে থাকা প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন বলেন, ইজিবাইকটি সড়কে নিয়ম মেনে বাঁ পাশেই ছিল। ট্রাকটি বিপরীত দিক থেকে রং সাইডে এসে সামনে থেকে ইজিবাইককে ধাক্কা দেয়। এতে ইজিবাইকটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলে ছয় এবং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজন মারা যায়।
খুলনা গেজেট/এমএইচবি