অ্যান্টিগার স্যার ভিভিয়ান রিচার্ড স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নামে ইংল্যান্ড। স্বাগতিকদের পেস তোপে ৪৮ রানেই চার উইকেট হারিয়ে ফেলে ইংলিশরা। পঞ্চম উইকেটে জনি বেয়ারস্টো ও বেন স্টোকসের ৬৭ রানের জুটি ইংলিশদের ব্যাটিং ধ্বস থেকে রক্ষা করে। ৩৬ রান করে স্টোকস বিদায় নেওয়ার পর ষষ্ঠ উইকেটে বেন ফোকসের সাথে ৯৯ রানের জুটি গড়েন বেয়ারস্টো। ক্রিস ওকসের সাথে গড়েন ৭১ রানের জুটি।
এক প্রান্ত আগলে রাখা বেয়ারস্টো তুলে নেন শতক। ১৪০ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। বেয়ারস্টোর ইনিংসে ছিল ২১টি বাউন্ডারি। তিনি মোকাবেলা করেন ২৫৯ রান। ইংল্যান্ড সংগ্রহ করে ৩১১ রান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে জেইডেন সিলস চারটি এবং জেসন হোল্ডার ও আলজারি জোসেফ দুইটি করে উইকেট নেন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম ইনিংসে দারুণ শুরু করে। উদ্বোধনী জুটিতে পায় ৮৩ রান। শতক হাঁকান এনক্রুমাহ বনার। ৩৫৫ বলে ১২৩ রানের ধৈর্যশীল ইনিংস খেলেন তিনি। বনারের ইনিংসটি সাজানো ছিল ১২টি চার ও একটি ছক্কায়।
প্রথম ইনিংসে ক্যারিবিয়ানরা সংগ্রহ করে ৩৭৫ রান। বনারের শতক ছাড়াও ক্রেইগ ব্রাথওয়েট ৫৫ ও হোল্ডার ৪৫ রান করেন। ইংলিশদের পক্ষে স্টোকস, জ্যাক লিচ ও ক্রেইগ ওভারটন দুইটি করে উইকেট নেন।
৬৪ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে শুরুতেই অ্যালেক্স লিসকে হারায় ইংল্যান্ড। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে ম্যাচ বাঁচানো ইনিংস খেলেন জো রুট ও জ্যাক ক্রলি। ২০১ রানের জুটি গড়েন তারা। চতুর্থ দিনেই শতক পূরণ করেছিলেন ক্রলি। ক্রলি ২১৬ বলে ১২১ রান করেন। তার ইনিংসে ছিল ১৬টি চার।
পঞ্চম দিনের শুরুতে শতক হাঁকান রুটও। জোসেফের বলে বোল্ড হওয়ার আগে রুট করেন ১০৯ রান। ইংলিশ অধিনায়কের উইলো থেকে আসে ছয়টি বাউন্ডারি। অপরপ্রান্তে দ্রুত রান তোলেন ড্যানিয়েল লরেন্স। ৩৬ বলে ৩৭ রান করেন তিনি। ৬ উইকেটে ৩৪৯ রান নিয়ে ইনিংস ঘোষণা করে ইংল্যান্ড। ফলে ম্যাচ জয়ের জন্য ওয়েস্ট ইন্ডিজের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ২৮৬ রান।
আবারও উদ্বোধনী জুটিতে ভালো সূচনা পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ব্রাথওয়েট ও জন ক্যাম্পবেল এনে দেন ৫৯ রানের জুটি। তারপর হঠাৎ ধ্বস নামে। ৮ রানের ব্যবধানে চারটি উইকেট হারিয়ে ফেলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। জ্যাক লিচই নেন তিনটি উইকেট। তবে আর কোনো বিপদ ঘটতে দেননি বনার ও হোল্ডার। তাদের ৮০ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ড্র হয় ম্যাচ।
বনার ১৩৮ বলে ৩৮ রান ও হোল্ডার ১০১ রানে ৩৭ রান করেন। ম্যাচ সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন বনার।
খুলনা গেজেট/ টি আই