যশোরে এবার দন্ত চিকিৎসক স্বামীর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন ডেন্টিস্ট স্ত্রী। যৌতুক নিরোধ ও পারিবারিক সুরক্ষা আইনে স্বামীসহ পরিবারের তিন সদস্যের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।
শনিবার (১৭ মে) যশোর উপ-শহর সি-ব্লকের মৃত এসএম তমিজ উদ্দিনে মেয়ে দন্ত চিকিৎসক শান্তা শারমীন বাদী হয়ে এ মামলা করেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রহমত আলী যৌতুক মামলার আসামিদের প্রতি নোটিশ জারির আদেশ দিয়েছেন।
আসামিরা হলো, বাদীর স্বামী শহরের পুরতান কসবা লিচু বাগান এলাকার দন্ত চিকিসক আব্দুল্লাহ আল মামুন, শ্বশুর আব্দুল খালেক ও শাশুড়ি আলেয়া বেগম।
মামলায় বলা হয়েছে, ২০১৯ সালের ৩ নভেম্বর আসামি আব্দুল্লাহ আল মামুন পরিবারিকভাবে দন্ত চিকিৎসক শান্তা শারমিনকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর সাংসারিক পাঁচ লাখ টাকার মালামাল দেয়া হয় আব্দুল্লাহ আল মামুনকে।
এছাড়া শান্তা শারমিনের মা তার জামাইকে মোটরসাইকেল কেনার জন্য এক লাখ ৬০ হাজার টাকা দিয়েছিলেন। পরবর্তীতে আসামি আব্দল্লাহ আল মামুন তার স্ত্রীর বিভিন্ন ব্যাংক হিসাব থেকে বিভিন্ন সময়ে ১১ লাখ ৮০ হাজার টাকা উত্তোলন করে নেন। এরপরও আসামি তার স্ত্রী শান্তা শারমিনের কাছে ১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করেন।
একপর্যায় চলতি বছরের ২০ জানুয়ারি শান্তা শারমিন যৌতুকের টাকা দিতে অস্বীকার করায় স্বামীসহ পরিবারের লোকজন তাকে পিতার বাড়ি তাড়িয়ে দেন এবং যোগযোগ বন্ধ করে দেন। এরপর গত ১৪ ফেব্রুয়ারি আসামিদের বাড়িতে ডেকে মিমাংসার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয় শান্তা শারমিনের স্বজনেরা। এ কারণে বাধ্য হয়ে তিনি যৌতুক নিরোধ ও পারিবাকির সুরক্ষা আইনে আদালতে এ মামলা দায়ের করেছেন।
খুলনা গেজেট/এমএনএস