ডুমুরিয়ায় ব্যক্তি শত্রুতার জের ধরে শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া সংঘটিত হয়েছে। এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, ব্যবসায়ী, শিক্ষার্থীসহ ৫/৬ জন আহত হয়েছে।
শনিবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার কাঁঠালতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং বাজারের ব্যবসায়ীদের মধ্যে এই ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, কাঁঠালতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক তাপস বসাক এবং কাঁঠালতলা বাজারের ব্যবসায়ী শংকর কুমারের মধ্যে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে গত বৃহস্পতিবার বাকবিতন্ডা হয়। এর এক পর্যায়ে শংকর তাপস বসাককে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এর জের ধরে শনিবার সকালে বিদ্যালয়ের কয়েকজন ছাত্র শংকরের দোকানে গিয়ে তাকে মারপিঠ করে বিদ্যালয়ে ডেকে নিয়ে আসে। এ সময় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এস এম আব্দুর রাজ্জাক ছাত্রদের ধমক দিয়ে শংকরকে নিজের কক্ষে বসিয়ে রাখেন।
এরপর তিনি কাঁঠালতলা বাজার কমিটির সভাপতি আব্দুল আজিজ শেখ এবং বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি অধ্যাপক জি এম ফারুক হোসেনকে বিদ্যালয়ে আসার জন্যে ফোন করেন। এর মধ্যে বাজারের কয়েকজন ব্যবসায়ী বিদ্যালয় অভ্যান্তরে প্রবেশ করে, তাদের মধ্যে আজহারুল ইসলাম নামে জনৈক ব্যবসায়ী প্রধান শিক্ষকের কক্ষে ঢুকে প্রধান শিক্ষক এস এম আব্দুর রাজ্জাককে শারিরিকভাবে লাঞ্চিত করে।
এঘটনার পরেই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে, তারা লাঠি সোটা নিয়ে চুকনগর-খুলনা মহাসড়কে বিক্ষোভ প্রদর্শণ করে এবং ব্যবসায়ীদের ধাওয়া করতে উদ্যত হয়।
এ সময় ব্যবসায়ীরাও ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে, তারাও লাঠি সোটা নিয়ে রাস্তায় নেমে আসলে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া সংঘটিত হয়। এতে ২/৩ জন শিক্ষার্থী আহত হয়। এ সময় বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি অধ্যাপক জি এম ফারুক হোসেন উভয় পক্ষকে নিবৃত করার চেষ্টা করেন।
খবর পেয়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এঘটনার পরে ডুমুরিয়া থানার পরিদর্শক (অপরেশন) জি এম ইমদাদুল হক ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে উভয়পক্ষকে নিয়ে প্রধান শিক্ষকের কক্ষে এক বৈঠকে মিলিত হন।
সেখানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এস আই হাফিজ, এস আই কামাল হোসেন, এস আই ফরিদুজ্জামান, এস আই শাহীন, বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি অধ্যাপক জি এম ফারুক হোসেন, চুকনগর হাসানিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার শাহীন কাদির, কাঁঠালতলা বাজার কমিটির সভাপতি আব্দুল আজিজ শেখ, সাধারণ সম্পাদক রায়হান হোসেন সহ বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ।
এসময় জি এম ফারুক হোসেন প্রধান শিক্ষকের উপর হামলাকারী আজহারুল ইসলামকে অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবি জানান। বৈঠক শেষে দোষীদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করার আশ্বাস দিয়ে উভয়পক্ষকে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার আহবান জানান পুলিশ পরিদর্শক জি এম ইমদাদুল হক।