খুলনা, বাংলাদেশ | ৩০ কার্তিক, ১৪৩১ | ১৫ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে রিমান্ডে কলেজ শিক্ষক

গেজেট ডেস্ক

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় ঈশ্বরদীর পাকশী রেলওয়ে কলেজের শিক্ষক রাজিবুল আলম ইভানের (৫২) রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। কুষ্টিয়ায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ এবং তার চাচাতো ভাই কুষ্টিয়া সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা আতাউর রহমান আতাকে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে যুবলীগ নেতার দায়ের করা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। শুক্রবার কলেজশিক্ষক রাজিবুল আলমের আইনজীবী অ্যাডভোকেট এনামুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কুষ্টিয়া মডেল থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক মাসুদুর রহমান বুধবার কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক রেজাউল করীমের আদালতে আসামিকে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। আদালত শুনানি শেষে একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গত বছরের ৪ঠা ডিসেম্বর গভীর রাতে কুষ্টিয়া শহরের পাঁচ রাস্তার মোড়ে নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভেঙে ফেলে দুর্বৃত্তরা। পৌরসভার পক্ষ থেকে কুষ্টিয়া মডেল থানায় দায়ের করা মামলায় সিসি ক্যামেরার ফুটেজের সূত্র ধরে দুই মাদ্রাসাছাত্র ও দুই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়।

আলোচিত এই ঘটনা নিয়ে অনেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নানা প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। বঙ্গবন্ধুর নির্মাণাধীন এই ভাস্কর্য ভাংচুরের ঘটনায় একটি পোস্ট দেন একই কলেজের সাদ আহমেদ নামের একজন শিক্ষক। সহকর্মীর এই স্ট্যাটাসের সূত্র ধরে একই কলেজের কম্পিউটার বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক রাজিবুল আলম ইভান আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ এবং তার চাচাতো ভাই কুষ্টিয়া সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা আতাউর রহমান আতাকে ইঙ্গিত করে কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করেন।

কলেজ শিক্ষক রজিবুল আলমের ফেসবুক আইডিতে এই লেখা দেখে সংক্ষুব্ধ হন কুষ্টিয়া সদর উপজেলা যুবলীগ নেতা মিজানুর রহমান মিজু। গত বছরের ১৪ ডিসেম্বরের তিনি কুষ্টিয়া মডেল থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাটি দায়ের করেন। শিক্ষক রাজিবুল আলম ইভান এই মামলায় উচ্চ আদালত থেকে আট সপ্তাহের জামিনে ছিলেন। উচ্চ আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক গত ১৮ই ফেব্রুয়ারি কুষ্টিয়ার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন। আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এরপর থেকেই তিনি কারাগারে আছেন।




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!