জয়ের জন্য প্রয়োজন ২৭৪ রান। বাকি সাড়ে ৩ সেশনের মতো। পঞ্চম দিনে কাজটি কঠিন হলেও অসম্ভব নয়। কিন্তু চতুর্থ দিনের শেষ বিকেলে দক্ষিণ আফ্রিকার স্পিনারদের সামনে অসহায় আত্মসমর্পণ বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের। ১১ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে দিন শেষ করে সফরকারীরা। আগামীকাল (সোমবার) শেষ দিনে প্রয়োজন ২৬৩ রান, হাতে ৭ উইকেট। জয়ের জন্য কাজটি কঠিন হলেও সুযোগ দেখছেন খালেদ মাহমুদ সুজন।
বাংলাদেশ দলের টিম ডিরেক্টর সুজন বলছিলেন, ‘জানি কঠিন। জিততে হলে এখনো ২৬৩ রান করতে হবে। কিন্তু ড্র করতে হলে পুরো ৯০ (৯৮) ওভার ব্যাট করতে হবে। আমি মনে করি সারাদিন যদি আমরা ব্যাট করি অবশ্যই ম্যাচ জেতার চান্স থাকবে। প্রথম কথা হচ্ছে সকালে কেমনভাবে শুরু করি। এখনো ভালো দুই জন খেলোয়াড় আছে। মুশফিক-শান্ত উইকেটে। এরপরে লিটন ও ইয়াসির আছে। এখনো আমাদের চান্স আছে। আমি জানি কন্ডিশন কঠিন, বল টার্ন করছে, নিচু হচ্ছে। আমরা চেষ্টা করব। এখনো আমরা জেতার আশা ছাড়ছি না।’
সঙ্গে যোগ করেন সুজন, ‘২৭৩ চেজ করার মতো স্কোর। তবে কন্ডিশন বিবেচনা করে একটু টাফ। বোলাররা ভালো করেছে, এখন ব্যাটসম্যানদের পালা। যদিও আমরা তিন ব্যাটসম্যানকে হারিয়েছি। স্টিল বিশ্বাস করি আমরা ভালো করতে পারি।’
সাদমান ইসলাম, মাহমুদুল হাসান জয় আর অধিনায়ক মুমিনুল হক আউট হয়েছেন। অপরাজিত আছেন দুই ব্যাটসম্যান নাজমুল হোসেন শান্ত আর মুশফিকুর রহিম। ব্যাটিংয়ে অপেক্ষায় ইয়াসির আলি রাব্বি, লিটন দাস আর মেহেদী হাসান মিরাজ। দলের ব্যাটিং গভীরতা ভাবনায় আত্মবিশ্বাসী সুজন।
চতুর্থ দিন শেষে সংবাদমাধ্যমকে সুজন বলেন, ‘মুশফিক আমাদের সবচেয়ে সিনিয়র, সবচেয়ে অভিজ্ঞ। তার থেকে আমাদের প্রত্যাশা অবশ্যই বেশি থাকবে। শান্ত আছে উইকেটে। লিটন দাস, রাব্বি আছে। মিরাজেরও একশো আছে টেস্ট ম্যাচে। সুতরাং আমরা আশাবাদী এখনো যদি ধৈর্য্য নিয়ে ব্যাট করতে পারি, সময় নিয়ে ব্যাট করি তাহলে এই ম্যাচে আমাদের জেতাও সম্ভব। এখান থেকে ড্র করার চান্সটা কম। হয় আমরা জিতব না হয় হারব।’
খুলনা গেজেট/ এস আই