খুলনা, বাংলাদেশ | ১০ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২৩শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

Breaking News

  ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরে পর্যটকদের ওপর হামলায় ২৬ জন নিহত
  খুলনার ফুলতলা উপজেলায় সুমন মোল্লা নামের একজনকে গুলি করে হত্যা
  সাগর-রুনি হত্যা মামলার নথি পুড়ে যাওয়ার তথ্য সঠিক নয় : ডিএমপি
  মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলামের আপিল শুনানি ৬ মে পুনর্নির্ধারণ
মন্দিরা মজুমদার আত্মহত্যা প্ররোচণা মামলা

ডাক্তার সুহাসের ৬ সপ্তাহের অর্ন্তবর্তীকালীন জামিন

নিজস্ব প্রতিবেদক

শিক্ষানবিশ চিকিৎসক মন্দিরা মজুমদার আত্মহত্যা প্ররোচনা মামলার আসামী খুমেক হাসপাতালের আবাসিক কর্মকর্তা ডাক্তার সুহাস রঞ্জন হালদার ৬ সপ্তাহের অর্ন্তবর্তীকালীন জামিন পেয়েছেন। মঙ্গলবার উচ্চ আদালতে জামিনের জন্য আবেদন করলে তাকে এই জামিন দেওয়া হয়। মঙ্গলবার (২৪ মে) সোনাডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মমতাজুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি খুলনা গেজেটকে বলেন, মন্দিরা মজুমদার আত্মহত্যার পর থেকে দীর্ঘদিন আত্মগোপনে ছিলেন খুমেক হাসপাতালের আবাসিক কর্মকর্তা ডাক্তার সুহাস রঞ্জন হালদার। পুলিশ তাকে গ্রেপ্তারের জন্য বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়েছে। সোমবার তার জামিন সম্বলিত একটি অনুলিপি থানা এসে পৌছেছে। এর আগে সুহাস রঞ্জন হালদারের বড় বোন সিথি মনি হালদারকে মোংলা উপজেলার চটের হাট এলাকার এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে আটক করা হয়। বর্তমানে তিনি কারাগারে রয়েছেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গাজী মেডিকেল কলেজ হাপসপাতাল থেকে এমবিবিএস পাশ করে বিসিএস পরীক্ষার জন্য বাসায় থেকে প্রস্তুতি নেয় মন্দিরা মজুমদার। এর আগে তার বাবা অসুস্থ হয়ে খুমেক হাসপাতালে ভর্তি হলে সেখানে সুহাসের সাথে পরিচয় হয় মন্দিরায়। ভালবাসার প্রস্তাব দিলে মন্দিরা সরল মনে গ্রহন করে। কিন্তু সুহাস তার পূর্বের বিয়ের কথা গোপন রেখে প্রেমের ছলনা করে। সম্পর্ক এমন স্থানে পৌছে যায় যেখান থেকে মন্দিরার আর ফিরে আসার পথ ছিল না।

পরিবারের সকলকে সুহাসের বিষয়টি জানালেও মেয়ের মুখের দিকে তাকিয়ে বাবা প্রদীপ মজুমদার সুহাসের কাছে গেলে তাকে গালমন্দ করে খুমেক হাসপাতাল থেকে বের করে দেয় ওই আবাসিক কর্মকর্তা। এরপর আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় মন্দিরা। ২৮ এপ্রিল সন্ধ্যার দিকে নিজের ঘরের ফ্যানের হুকের সাথে ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করে মন্দিরা। পরে আত্মহত্যা প্ররোচনার অভিযোগ ওঠে খুমেক হাসপাতালের আবাসিক কর্মকর্তা সুহাস রঞ্জন হালদার ও তার বোন সিথি মনি হালদার।

আত্মহত্যার পর সুহাস ও তার বোন আত্মগোপনে চলে যায়। বড় বোড় সিথি মনিকে মোংলা চটেরহাট এক আত্মীয় বাড়ি থেকে আটক করা হলেও তার কোন খবর পাওয়া যায়নি। সর্বশেষ মঙ্গলবার সুহাস রঞ্জন জমিন পেয়েছে বলে জানা গেছে।




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!